পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষষ্ঠ প্রস্তাব। Côto ও জাগতিক কাৰ্য্যসকলেও এতটা হস্তক্ষেপ করিতে সমর্থ হয়, , যাহা একভাবে কোনক্রমে তাহার দ্বারা সম্ভব হইতে পারিত না । , ফলতঃ এরূপ বিধান ও ক্রিয়াযোগেই কেবল স্ত্রীজীবনের সর্বতোভাবে মহত্ত্ব ও সার্থকতা সাধন সম্ভব হইতে পারে। যে হতভাগ্য স্ত্রী বা পুরুষের ভাগ্যে সেরূপ স্ত্রীত্ব বা স্বামিত্ব ঘটে নাই, তাহার পক্ষে স্বতন্ত্র বা সময়ানুরূপ যে কোন ব্যবস্থা । তাহারা বিধাতুনিয়মভঙ্গ হেতু যথাক্রুপ দণ্ডযোগ্য, অতএব তাঁহাদের পক্ষে কোন ব্যবস্থাই সমতুল্য মুখের বা শুভকরী হইতে পারে না। এখন কথা হইতেছে যে, যাহারা বিধবা, অথবা বালবিধবা, তাহাদের পক্ষে ব্যবস্থা কি ? বৃদ্ধার পক্ষে ব্রহ্মচৰ্য্য এবং বালিকা ও যুবতীর পক্ষে পুনৰ্ব্বিবাহ, এরূপ ব্যবস্থা সম্ভবপর হইলে যে বড় ভালই হইত, তাহাতে আর সন্দেহমাত্র নাই। . বিশেষতঃ যেখানে ব্যভিচারের সম্ভাবনা, সেখানে বিধবাবিবাহে যদি ব্যভিচার থামে, তবে তাহ সহস্ৰগুণে প্রার্থনীয়। কিন্তু বিধবার সেরূপ পুনৰ্ব্বিবাহ কি সম্ভবপর ? এরূপ বিবাহ অনুমোদিত হইতে হইলে, এ দুইটির একতর অবশুই প্রয়োজনীয় ;–প্রথম, হয় উপযুক্ত পুরুষসংখ্যা ; দ্বিতীয়, তদভাবে পুরুষের বহুবিবাহ। কিন্তু উপযুক্ত পুরুষসংখ্যাত নাই ; আর বহু বিবাইট যে অতিশয় অনুচিত, তাহা কাহাকেও বলিয়া বুঝাইতে হইবে না। এ দেশে পুরুষ ও স্ত্রীর সংখ্যা প্রায় সমান ; এজন্ত বিধবার বিবাহ হইতে হইলে, অনেক অবিবাহিত বালিকাকে অনুঢ়া থাকিতে হয়। কিন্তু সেটাও অতি অবিবেচনার কার্য্য ;–একজন পুনঃ পুনঃ বিবাহের সুযোগ পাইবে, আর একজন কিছুই পাইবে না, ইহা যুক্তি ও ন্যায় উভয়তঃ বিরুদ্ধ এবং তাঁহা হইলে, সমাজ পাশ্চাত্য ইউরোপীয়