পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&C3 शौक्।। ७ श्नूि । প্রচলিত আছে, কই সেখানে ত উহার প্রভাবে ভাল বাছুনী ও ভাল গৃহমুখের অস্তিত্ব বড় একটা দেখিতে পাওয়া যায় না ? সাধারণতঃ ইউরোপীয় গৃহে যত অমিল, যত অমুখ যত কলহ, যত দাঙ্গ ফেসাদ ; যে কেহ মনঃসংযোগপূর্বক প্রতি সপ্তাহে ইউরোপীয় সংবাদপত্র পাঠ করিয়া থাকে, সেই তাঁহা জ্ঞাত হইতে পারিবে এবং সে যে সেরূপ পাঠের পর আর ইউরোপীয় বিবাহপ্রথার বিশেষ পক্ষপাতী হইবে, এমন বোধ হয় না। সুমিলে বয়ঃস্থাবিবাহ ঘটলে, বড়ই মুখের কথা সন্দেহ নাই ; কিন্তু সকল সময়ে তাহ ঘটে কই ? স্ত্রীপুরুষ উভয়েরই চরিত্র, বয়স হেতু একবার পাকিয় গেলে, আর তাহা একে অপরের জন্য আনত হওয়া বা উভয় উভয়তঃত্যাগ স্বীকার করা সহজ হইয়া দাড়ায় না । পুনশ্চ, যাহারা ভাবে যে, অতি অল্প সময়ের দেখা শুনাতেই স্ত্রী-পুরুষ উভয় উভয়ে সমপ্রকৃতিত্ব চিনিয়া লইতে পারে ; অথবা সংসারে অনভিজ্ঞ বালিকা অল্প দিনের কোর্টলীপেই মনের মত সমধৰ্ম্মী পুরুষ বাছিয়া লইতে সমর্থ হয়, তাহারা হয় লোকচরিত্রে নিতান্ত অনভিজ্ঞ, নতুবা স্বেচ্ছাক্রমে অন্ধ । যখন একজন দক্ষ লোকেরই একটা লোক চিনিতে বহুদিন গত হয় এবং তথাপি তাঁহাতে ভ্রান্তি একেবারে ছাড়ায় না, তথ{ সংসারে অনভিজ্ঞ যুব ও বালিকার পক্ষে, অপরিচিত এণং অনেক সমণে অজ্ঞাতকুলশীল লোক একজনকে চিনিয়া গওয়া কত কঠিন । তবে ইউরোপে আজি কালি লোকচেনার আর এক সহজ উপায় বাহির হইয়াছে, তাহ যদি কাহারও পছন্দ হয়ত হউক ; অর্থাৎ প্রাত্র বা পাত্রী কাহার কত টাকা আছে। ইহার ফলে ঘটতেছে এই, বালক বৃদ্ধাকে এবং বালিকা বৃদ্ধকে প্রায়ই বিবাহ করিয়া থাকে । ইহাতে মুখ শাস্তি ও সুপরিণাম যতটা সন্তবিতে পারে, তাঁহাই অবশ্য ঘটন হয় ।