পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

・●●* g গ্রীক ও হিন্দু। ষে পরিমাণে স্ত্রীর প্রকৃতি, চিত্ত ও শক্তি ক্ষীণ ; পৌরুষশক্তির প্রবলতা দ্বারা সেই পরিমাণে তাহার সৰ্ব্ববিষয়ে স্বাধীনতা লোপ ও সমতাসাধন কর্তব্য। পুনশ্চ, অন্য দিকে, যে প্রণয় ও আসক্তি স্বামীকে আকর্ষণ করিবার স্বত্র এবং যদ্বারা যুগ সংযোগসাধনে ফলের উৎপত্তি হয়, স্ত্রীসতীত্ব প্রধানতঃ তাহার মূল ; অতএব সেই স্ত্রীসতীত্ব যে কোন উপায়ে রক্ষণ করা শ্রেয়ঃ । ফলতঃ ইয়ংবেঙ্গলদিগের প্রার্থিত স্ত্রীস্বাধীনতা কখনই অবলম্বনীয় নহে, বিশেষতঃ আমাদিগের এই পরাধীন অবস্থায় ! এ পরাধীন অবস্থায় তাহ আরও বহু বিড়ম্বন ও নানা ভাবী দুঃখের কারণ স্বরূপ হইবে। বাঞ্ছারাম, কেবল হাটের লেড় হুজুগ চাহিয়া বেড়াইলে, তাহাতে নানা দুর্ঘটনারই ঘটনা হয় । অতঃপর বলা বাহুল্য ষে, স্ত্রীস্বাধীনতা বলিয়া জগতে কোন পদার্থ নাই, স্ত্রী-অধীনতাই বস্তুতঃ পদার্থ। তাহার মধ্যে কেবল এইটুকু প্রভেদ যে এ অধীনতা, স্ত্রী জাতির সাধারণতঃ লাময়িক শিক্ষণ ও শক্তি ও আত্মিক উৎকর্ষ-অপকর্ষতা অনুসারে, কখন কথঞ্চিং ইতরবিশেষ ভাব প্রাপ্ত হইয়া থাকে ও হওয়াও উচিত। উপরে যে স্ত্রী-স্বাধীনতা বা স্ত্রী-অধীনতার বিষয় বিবেচিত হইল, অধুনাতন ইউরোপ ও আমেরিকভূমিতে তাহ, নিজ সীমা অনেক অতিক্রম করিয়া গিয়াছে ; অন্ত দিকে অধুনাতন ভারতে, তাহ সেই সীমার অনেক নিম্নে পড়িয়া রহিয়াছে, স্ত্রীর উৎকর্ষ সহ সমতা রাখা হইতেছে না। তবে বিষয়টি যেরূপ, তাহাতে নিম্নে থাকা বরং ভাল, সীমার উপরে উঠিয়া যাওয়া কোনমতেই ভাল নয়। গ্রীক সিমস্তিনীবৰ্গেও, স্বাধীনতা সাধারণতঃ সীমার উপরে উঠিয়াছিল। কিন্তু যেমন এক দিকে সীমা অতিক্রমী স্বাধীনতা ছিল, তেমনি আবার অন্ত দিকে ভগিনী ও কস্তাদিগকে দাসীত্বেও বিক্রীত হইতে হইও ।