পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষষ্ঠ প্রস্তাব । Çod: কলুষিত হইয়াছিল। মূল গ্রীকচরিত্র, সংস্রবণুষ্ঠ স্বাধীনভাবে ও স্বাবলম্বনে বৰ্দ্ধিত হইলে হয়ত এতটা দূষিত হওয়ার সম্ভাবনা ছিল না, কিন্তু কৰ্ম্মস্থত্রের অনিবাৰ্য্য নিয়োজন বশে তাহ ঘটতে পায় নাই। উক্ত দূষিত ও কলুষিত লোকনীতিই, হিন্দু অপেক্ষা গ্ৰীক জাতীয় জীবনের শীঘ্র অধঃপতন বিষয়ে, মুখ্য কারণ স্বরূপ হইয়াছিল। গ্রীকলোকনীতির যে কিছু ক্রট, তাহ দোষের নানারূপ আধিক্য জন্য, এবং হিন্দুলোকনীতির যে কিছু ক্ৰট, তাহ সদগুণ সকলের সমাবেশ একদেশদশী অতিরেক ভাব জন্য সংঘটিত হইয়াছিল। ৪ । পূৰ্ব্বানুস্মৃতি । এক্ষণে একবার পূর্বাপর আলোচনা করিয়া দেখা যাউক । শাস্ত্র, ইতিহাস ও পুরাণাদি বিলোড়ন দ্বারা দেখিতে পাওয়া যায় যে, ভারতীয়েরা আত্মদেশবহির্ভাগে পরধনলোলুপ হইয়া কখনও অনধিকারপ্রবেশে উদ্যত হয়েন নাই , এবং তদ্বিষয়িণী দুরাকাজক্ষাও বোধ হয় তাহদের মনোমধ্যে কখন স্থান পায় নাই । ইহারা আপনাদের স্বদেশকেই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাজ্যখণ্ডে বিভক্ত করিয়া, প্রত্যেকে আপনাপন অধিকার মধ্যে সন্তুষ্ট থাকিতেন । ইহা দেখিতে পাওয়া যায় বটে যে, সময়ে সময়ে ভারতের মধ্যে কোন কোন রাজা প্রবল দুরাকাঙ্ক্ষার বশবৰ্ত্তী হইয়া, পার্শ্বস্থ বিভিন্ন অধিকারসকল আত্মবশে আনিতে চেষ্টা করিয়াছেন , কিন্তু এতদ্রুপ দৃষ্টান্ত অপেক্ষাকৃত অতি বিরল এবং তাহাও ভারত আয়তনমধ্যে আবদ্ধ । যাহা হউক, তদ্রুপ -কোন ঘটনা ঘটিলে এবং দস্থ্যদিগকেও কখন কখন দমন করিতে হইলে, কেবল সেই সকল সময়ে যে কিছু অস্ত্রচালনা করিতে হইত। সে সকল অস্ত্রচালনা বস্তুতঃ যে গণনায় নিতান্ত সামান্ত, তাহা মহে,