পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষষ্ঠ প্রস্তাব । ৫৭৩৮ স্বন্নেতর ভেদ মাত্র। কিন্তু ইহাও মনে থাকে যেন যে, যে বস্তু ধত অধিক স্বগ্ন হয়, ততই তাহা দৃশ্বের অতীত হইয়া থাকে ; শেষে অত্যধিক চেষ্টায় চক্ষের ব্যত্যয়ে স্থল দৃষ্টতে পর্যন্ত বঞ্চিত হইতে হয়। স্বল্প পদার্থমাত্রে অনুভবশক্তির বিষয়ীভূত। এ জগতে, গ্ৰীক এবং হিন্দু এই দুই বিভিন্ন জাতীয় জীবন-প্রবাহ, এক উৎস হইতে বিনির্গত দুই বিভিন্ন পথগামী দুইটি ধারাস্রোতোনদীর ন্তায় । যখন উৎস হইতে বাহির হইতেছে, তখন উহাদের জল একই রূপ কিছুমাত্র প্রভেদ থাকিবার কথা নহে, ছিলও না। পরে যখন ইহারা উৎপত্তিস্থান অতিক্রম করিয়া, আপনাপন নির্দিষ্ট পথ বাহিয়া গন্তব্য স্থানাভিমুখে যাইতে লাগিল ; তখনই ইহার স্ব স্ব গন্তব্যপথস্থ দেশ কাল ও স্বভাবের সংলগ্নে, আসাতে, সেই সকলের বহুবিভিন্ন গুণসংস্রবে অনুরূপ গুণরূপান্তরিত ভাব প্রাপ্ত হইয়া আসিল । যতই পথ অতিক্রম করিয়া দূরপথে আসিয়া উপস্থিত হইতে লাগিল, যতই পার্শ্বস্থ স্থানীয় শাখা প্রশাখা সকল আসিয়া তাহাতে সম্মিলিত হইতে থাকিল" ততই তাহীদের গুণন্তরপ্রাপ্তি ক্রমে এত বৃদ্ধি হইয়া আসিল যে, তখন স্থল দৃশ্যে তাহাদিগকে দেখিলে ও তদুভয়ের মধ্যে তুলনা করিলে, আর তাহাদিগকে সহোৎপন্ন বা সমজাতীয় নদী বলিয়া বোধ হয় না। তখন প্রত্যেককে সম্পূর্ণই পৃথক প্রকৃতির বলিয়া বোধ হয় এবং প্রত্যেকে তখন সম্পূর্ণ পৃথক প্রকৃতিরই বটে। যাহা হউক তথাপি, তরূপ হইলেও, বাহার চক্ষু আছে, যাহার অনুসন্ধান আছে ; সে তখনও স্বচ্ছদে দেখিয়া লইতে পারে যে, স্রোতস্বতী দুইটিকে আপাততঃ যতই বিভিন্ন প্রকৃতির বলিয়া বোধ হউক না কেন, উহাদের অস্তরে অস্তরে মূল উৎস-জনিত যে একতা, আজি পৰ্য্যন্ত তাহা সমভাবে প্রবাহিত হইয়া যাইতেছে, এবং