*Պե * গ্রীক ও হিন্দু। এখন পশ্চিম-সাগর-পার-নিবাসী বিধৰ্ম্মী ধৰ্ম্মবাচক বা কৌশলী জুৰাচোরের হন্তে ধৰ্ম্মশিক্ষা গ্রহণে উষ্ঠত । আর গ্রীক ? সে থার্শ্বাপলি, সে মারাথন ক্ষেত্র, সে হোমার, সে থেলিস, সে পেরিক্লিস, সে লিওনিদা, সে সক্রেটস, সে প্লেটো, সে আৱিষ্টটল, তাহারা কোথায় ? কাল ! কাল —সৰ্ব্বনাশক, সৰ্ব্বসংহারক, কুটিলকালিমাময় কালকন্দরে প্রবেশ করিয়াছে। বনপৰ্ব্বতনিবাণী নরশোণিতলোলুপ যে নরপশুদিগকে বৰ্ব্বর জ্ঞানে গ্ৰীক স্পশ করিত না, গ্রীক এখন তাহদের পদলেহন করিতেছে ! যে দিব্যবিভূতি ভারত ৰিভবে জগন্মোহিনী, আজি তাহাকে পথের ভিখারিণী হইতে হইয়াছে ! হা দিবা ! হা সংবৎসর ! হা যুগ । সে সকল কোথায় রাথিয়া আসিয়াছ ? স্বৰ্য্য, তুমি ত ত্রিকালসাক্ষী, কালের মানদণ্ডরূপে তুমি দণ্ডায়মান, বলিতে পার কি, সৰ্ব্বনাশীর দল সে সকল কোথায় ফেলিয়া আসিয়াছে ? আর তুমি-তুমি তাহাই আছ, তোমার সেই বাসগৃহও ত তাহাই রহিয়াছে, কিন্তু সে দিন, সে সকল মহার্ব রত্ন তুমিই বা কোথায় ফেলিয়া আসিলে ! কালগর্তে ? তুমিও তথায় যাইতেছ না কেন ? ' এ পৃথিবীর, এ বিশ্বের এইই গতি,—এক যায়, আর উঠে ; আর পড়ে, আর হয়। এ জগতে কোন অবস্থাই স্থায়িনী নহে। বাসস্তী শোভা, প্রিয়মুখ, প্রণয়সম্ভাষণ, মুনার দিবা, চাদের আলো, সকলেই থরে থরে সজ্জিত, কলসে ঋক্ বক্ করিতেছে, এমন সময় দপ করিয়া দীপনিৰ্ব্বাণ ; আমনি কে কোথায় লুকাইল, সকল ফুরাইল ; সবাই রছিল, আমিই চলিলাম? অথবা আমি রছিলাম, সবাই চলিল । আজি যেখানে বিজন কানন, কালি তথায়বিলাসভবন ; পরখ আবার চিতার আগুনে দগ্ধভূমি, গগন অন্ধকার করিয়া ঘন ঘোর মওলাকারে
