পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপসংহার। । &bo পূর্কের জগৎ এবং দ্বিসহস্র বর্ষ পরের জগতে একবার মিলাইয়া দেখ না কেন, তাহা হইলেই পূৰ্ব্বোক্ত উক্তির অর্থ অনুভব করিতে সমর্থ হইতে পরিবে। এ দীর্ঘকালে কত কতই ন উদয়, বিলয়, বিপ্লব ও বিনাশ সাধন হইয়াছে, তথাপি কিন্তু পূৰ্ব্ব হইতে পর জগৎ কত উন্নত এবং সে উন্নতি অপেক্ষাকৃত কি বিপুল, বিশাল এবং বিস্তারেতে ব্যাপনশীল ! কিন্তু এক কথা, পদার্থমাত্রের উন্নতগতি অবশুম্ভাবিনী হইলেই যে প্রতি পদার্থ উন্নতমূৰ্ত্তিতে অথচ স্বীয় পৃথকত্ব রক্ষা করিয়া দৃষ্টিপথের পথিক হইয়া থাকে, তাহা নহে। উন্নত গতিতে পার্থের এই বিধ পরিণাম। , এক, বহু পদার্থ সহ সম্মিলনে এবং স্বয়ং বিলুপ্তে পদার্থীন্তর বিরচন ; অপর তদ্রুপ সম্মিলন সত্ত্বেও স্বয়ং অবিলুপ্তে স্ফৰ্ত্তিময়ী স্বসংস্কৃত নবীনমূৰ্ত্তি পরিগ্রহণ। অর্থাৎ, ইহাতে পদার্থবিশেষের পূর্বরূপ, সামান্তপ্রাণ হইলে, উন্নতি সত্বেও বহুসংযোগে বিলুপ্ত-স্বাতন্ত্র্য হইয়া, সাধারণ দৃষ্টিপথ হইতে অদৃপ্ত হইয়া থাকে ; এবং তাঁহাতে সংযোজিত পদার্থগুলিই, আয়তন গুরুতা হেতু, বিশেষ এবং দৃশুমানরূপে ভাসমান হয়। কিন্তু যথায় মূল পদার্থ বিশেষ গুরু এবং তাহাতে সংযোজনীয় পদার্থগুলি লঘু,সেখানে বহুসংযোগেও মূল পদার্থের পূর্বরূপ, সংরক্ষিত উজ্জল স্বাতন্ত্র্য সহ, উন্নত ভাবে এবং দিব্য প্রভায় পরিলক্ষিত হইতে থাকে। উত্তরকালীয় গ্রীস এবং উত্তরকালীয় ভারতের দৃশুও, এ জয়ের দুইভর বলিয়া দৃষ্ট হইতেছে। গ্রীকভাগ্য এখন সমগ্র ইউরোপীয় স্রোতে মিশিয়া গিয়াছে ; সুতরাং ক্ষেত্রবহুলতায়, তাহার ভাবীমূৰ্ত্তি শ্রেষ্ঠ মোহকরী হইলেও, আপাত দৃশ্বে নগণ্যমধ্যে নিক্ষেপিত হইবার কথা। রোম গ্রীস হইতে মানুষ হইয়াছে, এবং সমগ্র ইউরোপ রোম ও গ্রীস উভয় হইতে মানুষ হইয়াছে ; অতএব প্রকৃতপক্ষে উত্তরকালীয় গ্রীস দেখিতে হইলে,