উপসংহার। ■ و هوه কাৰ্য্য। যে আবৰ্ত্তন ও বিবর্তনে সামান্ত একটী কীটাখু এই মূহুর্তে এই পৃথিবীতলে শক্তি সঞ্চালন করিয়া গমন করিতেছে, জানিও, বৈজ্ঞানিক বিবিধ প্রকরণেও জানিতে পরিবে, সেই আবৰ্ত্তন ও বিবৰ্ত্তনবেগ কেবল সেই কীটপুপাশ্বেই পৰ্য্যবসিত নহে, তাহ সমস্ত পৃথিবী, সৌরমণ্ডল ও সৌরজগৎ, তদতীতে দুর আকাশস্থ নীহারিকা, এবং তাহার পরেও যাহা কিছু আছে, তাহাকে পৰ্য্যন্ত যথা পরিমাণে শক্তিবিকম্পিত করিয়া তুলিতেছে। তারে তারে আকাশপিণ্ডগণ, পিণ্ডস্থগণ, অথবা এক কথায় সমস্ত বিশ্বব্রহ্মাও, কি সুদৃঢ় গ্রন্থনেই গ্রথিত । এই অপার অপরিসীম অথচ একস্থত্রে গ্রথিত বিরাট বিশ্বক্ষেত্ৰ—যাহা বিরাট পুরুষ কর্তৃক নিয়োজিত কৰ্ম্মক্ষেত্ৰ—কি আশ্চৰ্য্য, কি অচিন্তনীয় ! সমগ্রতঃ মহাশক্তি এবং তদংশাবতার স্বরূপ তাবৎ খণ্ড শক্তি, মহাকৰ্ম্ম এবং তাহার কৰ্ম্মাংশ সম্পাদনে নিয়োজিত ; যে যেরূপ কালে ও যেরূপ ক্ষেত্রদেশে পতিত, সে সেইরূপে স্বীয় স্বীয় আত্মসার্থকতা সাধন করিতেছে। তুমিও সেই শক্তিখণ্ডসমূহের মধ্যে একটি খণ্ড অবতার স্বরূপ, সুতরাং তোমারও এই কৰ্ম্মক্ষেত্রের কৰ্ম্মাংশ সম্পাদন হেতু উদ্ভব। অনন্ত কালের এই খণ্ডে তোমার আবগুক, এই জন্ত তুমি এখন উদিত ; এখানে কৰ্ম্মপ্রবাহ মধ্যে গত আয়োজনবিশেষে আহুতি প্রদান ভিন্ন, তোমার উদয়ের আর কি উদ্দেশু বলিয়া ধরিব ? বস্তুতঃ তাহাই । যেমন অনন্ত আয়োজনফলে তোমার উৎপত্তি, তেমনি আবার অনাগত অনন্ত উৎপত্ত্বি তোমার আয়োজনফলের উপর নির্ভর করিতেছে। তুমি তাবৎ বিগত কালের সন্ততিস্বরূপ, এবং তাবৎ অনাগত কালের জনকস্বরূপ ; অতীত ও অনাগত এই যুগম্বয়ের সন্ধিস্থলে তোমার অবস্থিতি । সমস্ত বিগতকাল,—তাহার সেই আদি স্থাই, জগৎস্যষ্টি,
