পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপসংহার। \\2e Ses বিশ্ববিধাতার সেই মহান আদালতে বিচার এবং দয়া, কাঠিন্ত এবং করুণ, শাস্তি এবং শাস্তি, উভয়ের যুগপৎ সমাবেশ সাধন হয় ? কে ৰলিবে ? কি বলিব ? জানি না,—“যস্তাবেদং তস্ত বেদং বেদং যন্ত ন বেদ স ।” কিন্তু বাঞ্ছারাম, তাই বলিয়া মনে ভাবিও না এবং কীট, কীট৭, ঢ়িল পাটকেল দর্শাইয়াও বলিও না যে, আমি মিথ্যার আশ্রয় লইলেও, নিঃসন্দেহ তাহাঁদের অপেক্ষা, আমার দ্বারা জ্ঞানতঃ বা অজ্ঞানতঃ অনেক অধিক পরিমাণে কাৰ্য্য সম্পাদিত হইতেছে ; সুতরাং আমার জীবনও যে একেবারেই বৃথা, তাহা কেমন করিয়া বলিব ; অতএব: কেন আমাকে স্বচ্ছন্দ আহাঁর বিহার হইতে অপসারিত করিবার চেষ্টা পাইতেছ? রাম, রাম, বাঞ্ছারাম ! সে চেষ্টা যেন কেহ। না পায় । তুমি স্বচ্ছন্দে আহার বিহার কর, কিছুমাত্র তাহাতে আপত্তি নাই, কিন্তু তাহীর পরিমাণ করিও ; এবং সুভাবে ও স্বচ্ছদে আহার বিহার সঞ্চয় ও সম্ভোগ ধরিতে পারিলে, তাহাও মহাকৰ্ম্ম মধ্যে গণনীয়,বলিয়া জানিবে ; অধিকন্তু, অবসরকাল অপব্যয় করিও না। এ কৰ্ম্মক্ষেত্রে কে কত কৰ্ম্মরাশি সমুখপাদন করিল, তাহ লইয়া কৰ্ম্মের পরিমাণ নহে ; কে কৰ্ম্মার্থে কর্তখানি নিজ নিজ প্রাপ্ত শক্তির সায় করিল, তাহ লইয়াই পরিমাণ। কন্টাক্টের বন্দোবস্ত এখানে নাই ; মুনিবে যতটা দেয় তাহারই হিসাব লইয়া থাকে, এবং চাকরও সেই হিসাব দিতে বাধ্য, নহিলে শাস্তি আছে। তোমার আরও এক অতি প্রিয়তম এবং চিরপোষিত কুতর্ক আছে।—তুমি বলিয়া থাক, এরূপ না করিয়া, আমাদিগকে এরূপ ছাদেবাদে না ফেলিয়া, এরূপ দীর্ঘকাল-সাপেক্ষতার অপেক্ষ না রাখিয়া, এরূপ এরূপ করিলেই, ঈশ্বর ত তাহার কার্য্য অনায়াসে