পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

●२२ গ্রীক ওহিদু। তাহাতে দা-কুমড়া সম্বন্ধ । যাহা হউক, তথাপি একটা মুখের বিষয় এই দেখিতে পাই যে, ভারতীয় ইতরগণ এখনও ততটা অধঃপাতগত হয় নাই, যতটা ভদ্রশ্রেণীর ভাগ্যে ঘটিয়াছে। নিম্নশ্রেণী এখনও বল বীৰ্য্য, সাহস সরলতা, ধৰ্ম্মভীরুতা উদ্যোগিতা ও কৰ্ম্মচেষ্টা হইতে সম্যকৃ বঞ্চিত হয় নাই । এখনও ব্যবহারগুণে, তাহাদিগকে আপন করিয়া এবং নিয়মে আনিয়া ও সমষ্টি বাধিয়া পৃষ্ঠবলে পরিণত করিতে পারিলে, এমন জাতীয় কাৰ্য্য কমই আছে যাহা সংসাধন করিতে না পারা যায় । কিন্তু দেখে কে, করে কে ?—করিবে যাহারা, তাহারা ত আশাবিলুপ্ত অধঃপাতগত —করিবার ক্ষমতা হইতে দিন দিন দূরে পতিত হইতেছে ; তাহারা ব্যবহার অনভিজ্ঞ, নীতি ধৰ্ম্ম ও কৰ্ম্মবুদ্ধিতে পাষণ্ড, আত্মগরিমায় স্ফীত, আত্মস্বার্থে পরিপূরিত এবং আত্মম্ভরিতার মূৰ্ত্তিমান বিগ্রহ ; ব্যবহারগুণে তাহদের নিকট হইতে ইতরশ্রেণী ক্রমেই অন্তর হইতে অন্তরতর হইয়া যাইতেছে। এমন কি, ইতরগণ অনেক সময়ে, স্বজাতীয় ভদ্রের ক্ষমতা ও হস্তের অপেক্ষা, বিজাতীয়গণের ক্ষমতা ও হস্তের প্রতি অমুকুলত ও অনুরাগিতা প্রদর্শনে কুষ্ঠিত হয় না। কি শোচনীয় দৃশু ! কি শোচনীয় অবস্থা ! ! ভদ্রগণের সভা হয়, সমিতি হয়, কংগ্রেস হয়, আরও বা কত কি হয়, অথচ কিন্তু সাধারণলোক দুব হইতে দুরতর স্থিত । সভা প্রভৃতিতে আলোচ্য বিষয় যাহা, সাধারণের সঙ্গে তাঁহার কোনই সম্বন্ধ নাই ; অথচ এই মহাপুরুষগণ স্বীয় ঘোষণায় সেই সৰ্ব্বসাধারণের প্রতিনিধি । ভদ্রগণ এখন কৰ্ম্মদোষে নিজে ধ্বংসতরঙ্গে ভাসমান, কিন্তু হায় । সংস্রবদোষে নিয়শ্রেণীও তাঁহাতে নাডুবিয়া বাচে কই । ভদ্রগণ নিজে মজিতেছে, দেশকেও সেই সঙ্গে মজাইতেছে। এখনও বাচিতে আশা থাকিলে, তাহাদিগের পক্ষে অতি সুমহৎ প্রথম প্রয়োজন,—নিতেজে