Φον औक ७ हिन्दू। তরঙ্গনিক্ষিপ্ত মলরাশিবং যখন যেদিকে ধাক্কা পাইতেছে, তখন সেই দিক অভিমুখে ছুটতেছে; অবলম্বন-দণ্ডের সর্বত্রই অভাব। পাঁচজনের পাচরূপ মূৰ্ত্তি পাঁচক্কপ ভেক ধরিয়া উপস্থিত হইল, পাঁচজনের প্রত্যেকের মূৰ্ত্তি নুতন নূতন ; নীতি-সুত্রের অভাবে পাঁচজনের মধ্যে কোথাও বিষয়-সাধারণ ভাবের চিহ্নমাত্র নাই ; সুতরাং পাঁচজনই পাঁচজনের নিকট পঞ্চবিধৰ্ম্মী হওয়ায় পরস্পরের উপহাসাম্পদ হইল ; অতএব সুসংমিলনও ঘটিল না, পঞ্চশক্তি একত্র হইয়া মহাদেশুসাধক সমষ্টি বাধিতেও পারিল না। কেবল বাহদৃশ্যে এরূপ নহে, অস্তদৃশ্বেও অবিকল এরূপ। কাৰ্য্য ও আচরণের মূল এখন জ্ঞান ও বুদ্ধি নহে, অথবা নিয়ামক ও তাঁহাদের নীতি নহে ; মূল তাহাঁদের ফেসিয়ান এবং নিয়ামক তাহাঁদের প্রশংসাপ্রাপ্তির অভিলাষ । আজি তুমি বলিলে এইরূপ করিলে ভাল হয়, অমনি সেরূপ মতে না: হউক, কিন্তু মত পরিবৰ্ত্তিত হইল। কালি তিনি আবার তাঁহা দেথিম্বt নিন্দ করিয়া কহিলেন, এরূপ নহে সেরূপ হইবে, আবার পরিবর্তন ১ এইরূপে যে যাহা বলিতেছে, অমনি প্রবৃত্তি নিবৃত্তি পর পর উপযুfপরি ক্রমাগত মুহুঃ পরিবর্তনে ছুটতেছে, অথচ কাহাকেও কথন সন্তুষ্ট করিতে পারিলাম না। অষ্ঠের কথাও শুনিব না, নিজেরও নূতন করিবার শক্তি নাই অথচ, নূতন করিব। আবার নানা জনের নানা কথ} রটনার কারণকেও অপসারিত করিব ; এরূপ ভাবে কে কবে কাহাকে সন্তুষ্ট করিতে পারিয়া থাকে ? অধিকন্তু দেশীয় মহলে গালি এবং বিদেশীয় মহলে হাততালি, লাভের মধ্যে কেবল এইটুকু। ইহা সমাজ-ভ্রষ্টতা বা মিথ্যা সমাজের ফল। এ সকলেরই মূল কারণ, মূলে মূলের অভাব। এরূপ সমাজ ছিন্নস্বত্র মালিকাবৎ এবং সমাজস্থ জনগণের কার্য্যসমূহ স্বত্রচু্যত, ইতস্ততঃ বিক্ষিপ্ত, স্তুপীকৃত, ধূলিধূসরিত,
