পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপসংহার। । جهت নিরন্তর প্রাণপণে তাঁহার অনুসরণ করিত ;-এরূপ প্রাণপণে, যেন তাহাদিগের জীবন মরণ ও তদানুষঙ্গিক শুভাশুভ পৰ্য্যন্ত সেই কাৰ্য্য স্বসম্পাদনের উপর নির্ভর করিতেছে। বস্তুতঃ তাঁহাদের পক্ষে, সেই রূপই নির্ভর কবিত। যাহারা এরূপ সৰ্ব্বাস্তরীণ ভক্তিসংযুত কৰ্ম্মকারক, তাহদের প্রতি কৰ্ম্ম-নিয়োজক ঈশ্বরের করুণাও যে অপরিসীম হইবে, তাহা আর বলিবার অপেক্ষণ রাখে না। ফলেও সেইরূপ দাড়াইয়াছিল। প্রাচীন জগতে প্রাচীন হিন্দুরা কি না করিয়া গিয়াছেন ? প্রাচীন পৃথিবীর ইহারা সৰ্ব্বোত্তম রত্ন। অধিক কি, যুগযুগান্ত গত, তথাপি আমরা, বলিতে কি, আজি পৰ্য্যন্ত কেবল এক তাহাদিগের দোহাই দিয়া খাইতেছি। তাহারা সেই দূরতম কালেও যে সকল অস্তুত কাৰ্য্য সম্পাদন ও যে সকল নিগুঢ় তৰ উদ্ভাবন করিয়া গিয়াছেন, সে সকলের ভিতর এমন অনেক বিষয় আছে যে, যাহার অভ্যন্তরে আধুনিক জগৎ আজি পৰ্যন্ত প্রবেশ করিতে পারে নাই। তাহারা ছিলেন সেই, আর আমাদের দশা এই ! তথাপি, তাহাদিগের উপযুক্ত বংশধরেরা তাহদেরই মাথায়—সেই ভিক্ষভোজী ব্রাহ্মণগণের মাথায়, নিরন্তর গালিগালাজ বর্ষণ করিয়া থাকে। কি অপূৰ্ব্ব কৃতজ্ঞতা —তাহাই যদি না হইবে, তবে পোড়ার মুখই বা এমন করিয়া পুড়িবে কেন ? বংশধরদের পক্ষে অবগুই এটা তত অনুসন্ধানের বিষয় নহে যে, পিতৃপুরুষগণ কি উন্নতি করিয়াছিলেন বা না করিয়াছিলেন, বা তাহাঁদের কৃতবিষয়ক পরিণামে কি উন্নতি সম্ভবপর ঃ যেহেতু সে পক্ষে কি উনবিংশ কি উন-এক, কোন শতাব্দীরই উদ্ভাবন ও আবিষ্কারের ধার তাহারা ধারে না,—বাহাত্তরেও ঘাসজাল ছেয়াস্তরেও স্বাগজল ৷ ভাঁহাদের প্রধান অনুসন্ধেয় ও আক্ষেপ এই যে, কেন আধুনিক ভ্রষ্টীয়করণজীত যথেচ্ছাচারের পথ তাহারা পরিষ্কার