পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অসারতার প্রধান লক্ষণ, যখন সে পরের নিলাবাদে প্রবৃত্ত হয় ; এবং সেইরূপ চূড়ান্ত উচ্ছ,খলতার প্রধান লক্ষণ, যখন সে পিতৃপুরুষের নিন্দাবাদে প্রবৃত্ত হয়। প্রকৃত সারবান, নিলার অবসর পাইয়া উঠে না। আবার বলি, আর কোন দেশে কোন জাতির পূর্বপুরুষেরা , উত্তরপুরুষদিগের জন্ত, হিন্দু আৰ্য্যগণের অপেক্ষ, কৰ্ম্মক্ষেত্রে এরূপ সুন্দর জমি প্রস্তুত রাখিয়া গিয়াছে ? কিন্তু হইলে কি হইবে, কেহ বা তৈয়ারী জমি পাইয়া শেয়ালকাটা লাভ করে ; আবার কেহ বা অকৰ্ষিত জমি পাইয়াও নিজের শ্রমে কর্ষণপূর্বক মুফসল ষোল আনায় গৃহ পূর্ণ করিয়া থাকে। আমাদের ভাব প্রথমোক্ত। বাছারাম, অন্ত কাহারও নহে, দোষ আমাদের নিজের । যাহা হউক, এ অনন্ত অথচ কালবাহী জগতে সকলই থাকিবে অথচ কেহ একস্থায়িনী স্ব-মূৰ্ত্তিতে থাকিতে পাইবে না, তাহ বলির হউক বা ব্যক্তিগণের স্বার্থনিমিত্তভূত কারণের প্রবলত বশতঃ হউক, অথবা উভয়েরই যুগপৎ সমাবেশ বা অপরাপর যে কোন কারণসমূঙ্গের সমুপস্থিতিতেই হউক, পূর্ব অবস্থায় ক্রমে অবস্থান্তরের উপস্থিতি হইতে চলিল। পূৰ্ব্ব সমস্ত যেন ভাবী নবনিৰ্ম্মাণের উপাদান স্বরূপে নৈসর্গিক নিয়মবশে পুনৰ্ব্বার জাগতিক কৰ্ম্ম-কটাহে নিক্ষেপিত হইতে লাগিল । যে শুভ-স্বৰ্য্য এতদিন ভারত অদৃষ্টক্ষেত্রে ‘সমুদিত থাকিয় করপ্রসারণে সমস্ত পদার্থকে প্রদীপ্ত ও আলোকিত করিতেছিল, সেই স্বৰ্য্য এখন নিয়তিলীলায় মধ্যাহ গগন পরিভাগে অস্তশিখরমুখে অবতরণ করিতে লাগিল।" সময় পাইয়া অন্ধকার ধীরে ধীরে পদ প্রসারিত করিয়া জগৎ আবরিত করিতে লাগিল। নীতির দ্বাদশ বটকায় জীবজগৎ চমকিত এবং স্বার্থের বিষম বিদ্যুৎ ও বজগতে