পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

●6२ औरू eश्चूि । বা কি করিয়া ? সব ভাল, কিন্তু একটা কথা। গৃহলক্ষ্মী কাপেট বুনেন, বুহন কথা নাই ; কিন্তু যে স্বামীর এ শেয়াল-কুকুরের জীবনে (পদে পদে যার গলায় হাত ও মথায় লাথি ) সে কাপেট পরিতে সৗধ যায়, তাহার গলায় দড়ি ! আবার কথা আছে স্ত্রীজাতী শক্তিরূপিণী ; অতএব যে কামিনী স্বামীকে শক্তিমন্ত্রে দীক্ষিত করিয়া কৰ্ম্মরত করিতে না পারে এবং সমস্ত শক্তিমত্তা ধার কেবল কাপেট বুননে ব্যয়িত হয়, সে কামিনীরও গলায় দড়ি । সে যাহা হউক, যেমন পিতা, তেমনি মাত, দেশের হাওয়াও ততোধিক অনুকুল ; সুতরাং শিক্ষকের হস্তে সন্তান নিক্ষিপ্ত করিয়া স্বচ্ছন্দে পিতৃমাতৃত্ব স্বায় হইতে আপনাকে মুক্ত বিবেচনা না করিবে কেন ? না হইবে কেন ?—যে দেশে ধৰ্ম্ম এবং পুণ্য পর্যন্ত কিনিতে পাওয়া যায় ; সেখানে যে পিতৃমাতৃত্বও কিনিতে পাওয়া যাইবে না, এ কখন হইতেই পারে না । সাধারণ শিক্ষাস্থান আবার, বিজাতীয় রাজশাসনে এবং বিজাতীয় প্রথায়, ধৰ্ম্মশিক্ষা এবং চিন্তায় চিত্তপরিচালনাদি শিক্ষা, এ সকলের পক্ষে সম্পূর্ণ প্রতিকুল। নীতিশিক্ষার কখন কথন চেষ্ট হয় বটে, কিন্তু তাঁহা মূলশূন্ত নীতি। নীতিই হউক বা যে কোন বিষয় হউক, যতক্ষণ তাহার উৎপত্তি কোথা হইতে, আবস্তকতা কি, পরিণাম কোথা, ইত্যাদি তত্ত্ব জ্ঞাত হইতে না পারা যায, ততক্ষণ তাঁহাতে কখনও আস্থা জন্মিবার কথা নহে। যদি জন্মায়, তাহা পরগাছা নীতি, তাহী স্কুলপণ্ডিতী নীতি ;–এ দিকে ভ্রষ্টাচারের চুড়ান্ত অথচ ওদিকে আমোদে দুটাক ব্যয় করিতে দেখিলেই মনে করে, অপব্যয়ের চূড়ান্ত হইয়া গেল, আবার অন্ত দিকে তদ্বিপরীতে কেহ বা একেবারে অনাস্থা-সমুদ্রশায়ী, সমস্ত পুজি পাট ব্যয় করিয়া, সমস্ত শরীর নষ্ট করিয়া, তবু আমোদের শেষ হয় না, অনীতি কাণ্ডের