পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপসংহার । , - \కడి" সমাজে যখন স্ব স্ব গৌরব হেতু সকলেই পৃথক পৃথক, এক অপরের প্রতি তাচ্ছিল্যভাবপূর্ণ, তখন কখন পরস্পরের প্রতি কাৰ্য্যসাধক সহায়ভূতি ও ঘনিষ্ঠত জন্মিতে পারে না। তবে কিন্তু ইহার মধ্যে একটি মাত্র মহাতীৰ্থ আছে, যথায় সকলের সমান সমবেত হেতু যা কিঞ্চিৎ সুমিলনের সম্ভাবনা ঘটিয়া থাকে। সে মহাতীৰ্থ ?—সাহেবের রাঙ{ পদ । বাঞ্ছারাম, উহা তোমার গয়াতীর্থ এবং এ তীর্থের এমনই মহিমা যে, এখানে ছোট বড় সবাই ভাঙ্গিয়া সমান গতি প্রাপ্ত হয় । চাষা, ধনী, মধ্যবিত্ত, রাজা, ফকীর, চাকুরে, আচাকুরে, যিনিই যেমন ছোট হউন বা যিনি যতই বড়ত্ব জাহির করুন, এ পদপঙ্কজে কিন্তু সবারই সমান গতি, সমান মুক্তি। এই অপূর্ব তীর্থই ভারতীয়ের পক্ষে এখন যাহা কিছু বর্তমান একতাস্বত্র । রুদ্রদেব, তুমি কোথায় ? কদ্ধিদেব, আর কত দিন ?—এ অপদার্থের দল আর কতকাল ধরিয়া এ পৃথিবী কলঙ্কিত করিতে থাকিবে ? ভাল, সে যাহা হউক, আর এক বড় আশ্চৰ্য্য ! ছন্ন ও পদদলিত জীবনসমষ্টির ভিতর এত আত্মগৌরব, মন সাহেবন, এমন খোৰ মেজাজী আসে কি করিয়া ! জগতে যাহার মুখের কিছুই নাই, প্রতিপদক্ষেপে যাহার নিগড়-ঝঞ্চনা, শিওরে যাহার বিনাম টাঙনি, স্বদেশে থাকিস্থাও যে অপরিচিত ঘৃণ্য বিদেশীর অধম ; আগে ভাবিতাম, কেমন করিয়া সে মুখে এত হাসি, এত আমেদ, এত আত্মগৌরব আসে ? কেমন করিয়াই বা সে মুখে ভাত উঠে ? কিন্তু এখন দেখিতেছি, তদপেক্ষাও গুরুতর মৰ্ম্মাবনতির কথা আছে, যে কথায় তুলনে সে সকল কথাত তুচ্ছামৃতুচ্ছের মধ্যে পড়িয়া যায়। ভৰে.. কথাটা কি, যে কোন বিষয় যতই ক্লেশদায়ক হউক, বহুদিনের অভ্যস্ত হইয়া গেলে আর তাঁহাতে ততটা ক্লেশ বোধ থাকে না বা অন্ত