পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*Coy यौक ७ श्न्यूि । একরূপ আশ্চর্ঘ্য ও নিতান্ত দুর্ঘট হইয়া উঠিয়াছে। ভাবিয়া দেখ দেখি, ইহাদের অপূর্ণ দেহ এবং ক্ষীণবীর্ষ্যে আবার যে সকল সস্তান সন্ততি জন্মিবে, তাহার কতই না গুরুতর দুর্দশা প্রাপ্ত হইতে থাকিবে। যত শীঘ্র এবং যে পরিমাণে দেহের হ্রাস সাধন হইয়া আসিতেছে, সেই হ্রাস যদি সেই পরিমাণে অপ্রতিহতভাবে হইতে থাকে, তবে আর কে বলিৰে যে বেগুণ গাছে আকর্ষি দেওয়ার ভবিষ্যদ্বাণী ফলবতী হওয়ার দিন অধিক দুৰ্ববৰ্ত্তা ? এ দিকে দেখ, সদ্বংশ ক্রমেই গোপ প্রাপ্ত হইতেছে ; যাহারা যাইতেছে, তাহাদের স্থান আর পূরণ হইতেছে না । গবর্ণমেণ্টের জনসংখ্যায় যেরূপ ফল দাড়াইয়া থাকে দাড়াক, কিন্তু আমরা প্রতি পল্লিতে প্রতিনিয়ত যাহা নিরীক্ষণ করিয়া আসিতেছি, তাহাতে আশান্বিত হওয়ার কারণ অতি অল্পই। হায় ! হায় । এরূপ বিপ্লব-বিশিষ্ট দ্রুতপদ ধ্বংসাভিনয় প্রতিনিয়ত দেখিয়াও আমাদের চৈতন্ত হইতেছে না । বালক স্বভাবতঃ চপলস্বভাব, কিন্তু কালমহিত্ম্যে বালকও এখানে সে চপলতাত্যাগে, ফুৰ্ত্তির অভাবে যেমন জুজু, বৃদ্ধও তেমনি জুজু আগে বারোরারীপূজা ফুর্গোৎসব ইত্যাদি নান৷ উপলক্ষে, লোকে কতই ফৰ্ত্তির আধিক্য প্রকাশ করিত ; তাহদিগের যে কিঞ্চিৎ স্বাভাবিক স্ফৰ্ত্তি তখনও ছিল, উহা তাহারই চিহ্ন-স্বরূপ। সুতরাং তাঁহাদের শরীরও তেমন হীন ছিল না, আহারও নূ্যন ছিল না, ছিল কেবল তাহারা অজ্ঞানান্ধ ও সঙ্কীর্ণ কৰ্ম্মক্ষেত্রে বিচরণকারী। আর এখন ? হৃত-মুনীতি, ভাক্তনীতির বগুতয়, আসন্নকালে বিপরীত বুদ্ধি উদয়ের স্তায় যে সকল আমোদ, সে সকল স্কপ্তি ঘূৰণীয়। দৈহিক ক্রীড়া বা দৌড়ান পৰ্যন্ত দূরে থাকুক, ক্রতপদে চলিলেও গাতীৰ্য্যের হানি ও লজ্জার বিষয় বলিয়া