পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఉఅన్ని গ্রীক ও হিন্দু ইহাতে বিস্তর ; এবং যখন দেখা যাইতেছে যে, যোগাযোগ্য সংগ্রামে বিপৎপ্রতিকার হেতু কৰ্ম্মপথে শক্তিসঞ্চালন করিতে উদ্যমশীল হইতে পারিলেই আবার নবজীবনের সঞ্চার হয়, তখন অবশুই ইহা নিশ্চয় ষে আত্মদোষ পরিহার এবং কথিত শক্তি সঞ্চালনে উদযোগী হইলে সে বেগ ফিরাইতে সমর্থ হইতে পারা যায় । কিন্তু কে তাহার তত্ত্ব উদঘাটন করে, কে তাহার পথ দেখায় ? কেইবা এ প্রলয়বিক্ষিপ্ত স্বৰূর্ণত পদার্থনিকরের মধ্যে নিয়মের সঞ্চার করিতে সমর্থ হয় এবং কেইবা তাহার নেতা হইবে ? সমাজ যখন যথার্থ পথ হইতে গতিচু্যত হয়, তখন সমাজের মধ্যে যে কোন সাত্ত্বিক ব্যক্তি থাকেন, এবং থাকেনও অনেক তাহতে সন্দেহ নাই, তাহাঁদের কর্তব্য যে সমাজের জীবনী-শক্তির তাৎকালিক পরিমাণ বুঝিয়া ; তাহাঁর জ্ঞানপথে দর্শন কতদূর, আত্মিক শক্তির অবস্থা কিরূপ, এবং অস্তদৃষ্টি কতদূর প্রসারিত, তাহ নিরূপণ করিয়া, সেই অবস্থায় যেরূপ পরিচালনা শুভপ্রদ হয়, সেইরূপে পরিচালন করেন । কিন্তু এ পোড়া দেশের ভাগ্যে কাঠের দেবতাও হা করেন ;–এ পোড়াদেশে কখনও তেমন শুভ দিন সংঘটন হষ্টবে কি ? এখানে স্বার্থের প্রতিবন্ধকতা পড়িলে কে সাৰিক, কে অসাত্ত্বিক, কে হিতৈষী কে অহিতৈষী, কিছুই অনুভব করিবার সাধ্য নাই। যাহাঁদের উপর অধিক আশা, অধিক ভরসা, সমাজের শ্রেষ্ঠাংশ বলিয়া যাহদের আশ্রয় গ্রহণে সফলমনোরথ হইব বলিয়t আশা করা উচিত ; দেখা যায়, তাহারাই যেন সতত ও সবার আগে, চখে চথে চারি চক্ষু চাহিয়া, নৃশংস ও নিষ্ঠুব ভাবে মাতৃভূমির গলায় ছুরিকা প্রদানে অগ্রসর । তবে কিনা আশাতেই মানুষ বাচে, আশাই জীবনের পরিমাণ, তাই এখনও একেবারে নিরাশ হইতে পারি না । যদিই সেরূপ সাত্ত্বিকপ্রাণ পরিচালক মহাপুরুষ আপাততঃ কেহ