পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপসংহার। , শু৭৯ শঙ্করাচাৰ্য্যও সেই জগতে জন্ম গ্রহণ করিয়াছিলেন। লোকে বলে মহাপুরুষেরাও স্বার্থশূন্ত ছিলেন না। সে কথা সত্য বটে, আবার সত্যও নহে। তাহারাও স্বার্থশূন্ত ছিলেন না সত্য ; কিন্তু তাঁহাদের সে স্বার্থ দিব্য স্বার্থ ; পার্থিব লইয়া যথায় কথা, তথায় অবশুই বলিতে হইবে যে এ মহাপুরুষদিগের ষে স্বার্থ তাঁহা ‘নিস্বার্থ" পদবাচ্য হয়। মানবীয় কাৰ্য্য যতদুর দিব্য স্বার্থের দিকে লীন, তাহা জগতে সেই পরিমাণে মহত্ত্বের অাকর ও কল্যাণপ্রদ হইয়া থাকে । সে যাহা হউক, কি স্বার্থশূন্তে কি স্বার্থযুক্তে সম্পদ ও সৌভাগ্য, তাহা কি দিব্য, কি পার্থিব, কি শয়তানী, যেরূপই হউক, ইহা কিন্তু নিশ্চয় যে, তাহার যে কোনটাই যথাপরিমাণে উপার্জন করিতে হইলে -যথাসম্ভব আত্মশক্তির চালনা আবশুক হয় । আত্মশক্তিহীন অকৰ্ম্মাকে শয়তান যে, সেও উপেক্ষা এবং অস্বীকার করিয়া থাকে। দেবতা এবং অসুর উতয়েরই দ্বারা সে সমান পরিত্যক্ত ও বিড়ম্বিত হয় । কিন্তু হায় । আমি দেখিতেছি, ভারতসন্তান অকৰ্ম্মশীলতায় এখন এমনই অবসন্ন হইয় পড়িয়াছে যে, কোন দিকেই ইহার জীবনীশক্তির কিছুমাত্র স্কৃৰ্ত্তি বা পরিচয় পাওয়া যায় না ; সকল দিকেই নিজীব, নিম্পন্দ, জড়, পরমুখাপেক্ষী অসাররূপে লক্ষিত হইয়া থাকে। যে স্বার্থের জন্ত জগৎ ক্ষিপ্ত, যে স্বার্থ সমস্ত চরাচরকে উন্মাদিত করিয়া ফিরিতেছে, ভারতসন্তান সে স্বার্থের মোহ উপলক্ষ করিয়াও কাৰ্য্যপ্রবৃত্ত হয় না-কৰ্ত্তবাবুদ্ধির কথাত অনেক দূরে ৷ স্বার্থ এখন ইহাদের কুকুরবৃত্তিতে । ইহাদের কপালগুণে স্বার্থও ইহাদের প্রতি কৃপা বিতরণে দারুণ স্বার্থপর হইয়া দাড়াইয়াছে। ভারতসন্তান এখন কেবল বিশ্বঘাতী -नट्ट्, ख्यांश्चचांडौ७ ।।