পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপসদহাঁর । وفي جوه মানব যদি আত্মবান হয় ও তাঁহার আত্মস্থান যখন শূন্তের অক্ষপাতে না নামে, তখন তাহার যাহা কিছু সক্ষম শুভাশুভ ( বলা বাহুল্য যে সক্ষম শুভাশুভই এ জগতে একমাত্ৰ কাৰ্য্যকর এবং উপার্জনীয় ) তাহ একমাত্র আত্মশক্তির চালনার উপর নির্ভর করিয়া থাকে । এই আত্মশক্তি চালনা হইতে ক্ষমতার উৎপত্তি হয় । কৰ্ম্মক্ষমতার অস্তিত্ব যথায়, তথtয়ই কেবল মানবজীবনকে মানবজীবন বলা যায় ; তদন্ততরে ঢিল পাটকেল। অতএব মানবজীবন সার্থকভাবে অতিবাহন করিতে হইলে, আমাদের প্রথম প্রয়োজন আত্মশক্তিচালনা । আত্মশক্তিচালনা সুপথ বা বিপথ গমন, অথবা শুভ বা অশুভের উৎপাদন ; এ উভয় কাৰ্য্যেই পটু। কখন কখন বা ছরদৃষ্টক্রমে তাহ সমূদ্র ছেচিবার জন্ত নিযুক্ত হইয়া, গোস্পদ ছেচিয়াই পৰ্য্যাপ্ত জ্ঞান করিয়া থাকে ; অথবা এই দৃশুই এ জগতে প্রবল। আত্মশক্তিচালনা স্বয়ং অন্ধ। এ হেতু, ইহাকে স্বপথে ও যথাযোগ্য ভাবে চালিত করিতে হইলে, কৰ্ত্তব্যবুদ্ধির প্রয়োজন হয়। বলিতে গেলে, কৰ্ত্তব্যৰুদ্ধি উহার উত্তেজক এবং পরিচালক উভয়ই । কৰ্ত্তব্যবুদ্ধির অভাব হইলে, আত্মশক্তিচালনা সম্যক উত্তেজিত হয় না ; অথবা হউক বা না হউক, উভয়তঃ বা সৰ্ব্বথা তাহা বিপথ গমন করিয়া থাকে ; অথবা ক্ষিপ্তবং সুপথ ও বিপথে বিঘূর্ণিত হয়। পুনশ্চ কৰ্ত্তবাবুদ্ধির উচ্চেতরাদি ভাব হইতে, উন্নত বা সামান্ত ব্যাপারে এবং সৎ বা অসৎ পথে, উহার নিয়োজনাদির পরিমাণ পরিমিত হয়। ঈশ্বরের নিকট আপনার যে কৰ্ম্মকারকত্ব বোধ, এবং তাহার প্রীত্যর্থে আমি কৰ্ম্ম করিতে বাধ্য এইরূপ ষে জ্ঞান, তাহাকে কৰ্ত্তবাবুদ্ধি বলে। কৰ্ত্তবাবুদ্ধি ধর্মের বিষয়ীভূত পদার্থ। 8\O 幡