পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপসংহার। . ארא নির্ভর করিয়া নিশ্চিন্ত হইয় আপন যথানিষ্ট কাৰ্য্যে রত না হও? ইহলোকও যে ঈশ্বরের স্বাক্ট এবং রাজত্ব, পরলোকও সেই একই ঈশ্বরের স্বষ্টি এবং রাজত্ব। তুমি নিতান্ত নিৰ্ব্বোধ, নতুবা ঈশ্বরের প্রতিপ্রাপ্তির নিশ্চিত উপায় বাহ, তাহা পরিত্যাগ করিয়া, অনিশ্চিভের জন্য এবং ভয়ে এরূপ ক্ষিপ্ত হইয়া ফিরিবে কেন ? পরলোক পরের কথা ৪ ইহলোক, যাহার সহিত আপাততঃ তোমার সম্বন্ধ, যে তোমাকে খাওয়াইয়া পরাইয়া এত বড়টি করিয়াছে,যে তোমার নানামুখস্বচ্ছন্দত । সাধন করিতেছে, তাহার জন্ত কি করিয়াছ ? যে ইংলোকের প্রতি এরূপ অকৃতজ্ঞ, পরলোকে তাহার প্রতি বিশ্বাস ? ইহলোক অধিকারে ধে এমন অকৃতকৰ্ম্ম, পরলোক অধিকারে তাহাকে কে বিশ্বাস করিবে? ইহলোক ভিত্তিস্বরূপ, পরলোক তদুপরি স্থাপিত ; সেই ভিত্তির দৃঢ়তা এবং পূর্ণত সাধন পক্ষে কি করিয়াছ ? তোমার স্রষ্ট তোমাকে যে সকল শক্তি প্রদান করিয়াছেন, অবশুই তিনি তোমার নিকট তদতিরিক্ত কোন কার্য্যের প্রত্যাশা রাখেন না ; তাহার পর, তোমাকে যে সকল শক্তি প্রদত্ত হইয়াছে, দেখিতেছি যে, তাহ সমস্তই ইহলৌকিক কাৰ্যক্ষম শক্তি, ইংলোকের অতীত কাৰ্যক্ষমতা তাহার এক বিন্দুও নাই ; এমন স্থলে, ইহা কি নিশ্চয় করিয়া বলা যায় না যে, কেবল ইহলোক, কেবল ইহ সংসারই, তোমার একমাত্র কৰ্ম্মভূমি এবং কৰ্ম্মার্থে অবলম্বন ? ■ আবর্জনাশূন্ত নিৰ্ম্মল কর্তব্যবৃদ্ধি বাহ, তাহার উৎপত্তি এবং শিক্ষা এরূপে,-ঈশ্বর কোন পদার্থ নিরর্থক স্বষ্টি করেন না ; সুতরাং তিনি আমাদিগকে যে সমস্ত শক্তি, কি শারীরিক কি মানসিক, যাহা দিয়াছেন, তৎসমস্তের নিশ্চিত উদেখ এবং সার্থকতা আছে। আমরা সেই সকল শক্তির চালক ; অতএব আমরা যদি সেই সকল শক্তির