পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপসংহার। இர:) যাহাই হউক, তাহার পক্ষে দুই সমান, তাহাতে তাহার চেষ্টায় রোধকারী কেহ এবং কিছুমাত্র হইতে পারে না। সমগ্র পৃথিবী তারার মস্তকের উপর চাপিয়া পড়িলেও, সে তাঁহাতে ক্ষান্ত হইবার পাত্র নহে। যেহেতু সময়, সমাজ, পৃথিবী, তাহদের রোষ ও তোষ, মুখ্যাতি বা অখ্যাতি, এ সকলই ক্ষণিক, এই থাকিবে, এই থাকিবে না ; কিন্তু সে যাহার প্রত্যর্থে কীৰ্য্য করিতেছে, এবং যাহার অনুগ্রহ বা নিগ্ৰহ তাহার একমাত্র অবলম্বন, সেই প্রত্যাদি অনস্তস্থায়ী এবং অনন্তৰ্যাপী ; সুতরাং সে কি কখনও অনন্তকে রুষ্ট করিয়া অন্তকে তুষ্ট করিতে অগ্রসর হইতে পারে ? যে এরূপ দৃঢ়প্রতিজ্ঞ চেষ্টাবান, স্বয়ং ঈশ্বর করুণরসে তাহার সহায়তা করিয়া থাকেন, নতুবা সে সমাজ হইতে বহু ক্লেশ, বহু দুঃখ, বহু উপহাস, কঠোর মৃত্যুযন্ত্রণাকে পর্য্যন্ত কেমন করিয়া তুচ্ছে নিক্ষেপ করিতে সমর্থ হয় ? যে একবার মাত্র কখনও এরূপ কৰ্ম্মপ্রবৃত্তির অনুসরণ করিয়াছে, সেই বুঝিতে পারিবে যে, ইহার প্রভাবে স্বীয় অন্তরস্থ শক্তি কিরূপ আলোকসামান্ত বিকশিত এবং দুৰ্দ্ধমনীয় হইয়া থাকে ; বহু ক্লেশরাশির মধ্যেও কেমন একটি দিব্য সস্বনা পদার্থ পরিদীপ্তিমান হয়, এবং কেমন তাহা অঘোর প্রতিকুল অন্ধকার মধ্যেও তাঁহাকে স্বচ্ছন্দে পরিচালনা করিয়া লইয়া যায়। এই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতাবৰ্দ্ধক যে সমস্ত মহামুভবের নাম শুনিতে পাইয়া থাক, তাহদের জীবন একে -একে আলোচনা করিয়া দেখিও, দেখিতে পাইবে যে, তাহ অমূলত ইহারই জীবন্ত অভিনয় ভিন্ন আর কিছুই নহে ; এবং এই কৰ্ত্তবাবুদ্ধিই তাহাদের একমাত্র অবলম্বন ছিল। যদি ইচ্ছা হয়, ইহাও দেখিতে পাইবে যে, সাময়িক সমাজের নিকট তজ্জন্ত তাহাদিগকে সময়ে সময়ে কতই ক্লেশ ও অপমান প্রভৃতি সহ করিতে হইয়াছিল। কিন্তু