পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

అs: গ্ৰীক ও হিন্দু। তাঁহাতে তাঁহাদের কি হইয়াছিল ? প্রতিকুলত এখন লুপ্ত। তৎস্থলে ভtাদের কত কাৰ্য্য যাহা, তাহ দিগন্ত-ব্যাপ্ত, এবং অনন্ত কৰ্ম্মপ্রবাহে মহাধারারূপে তাহ এখন অনন্ত গৃহে গৃহীত। ফলতঃ মূল যখন “মুলং কৃষ্ণব্ৰহ্মচ ব্রাহ্মণশ্চ,” তখন অনুষ্ঠানে বনবাস, ৰহুক্লেশ, বহুসংগ্রাম, থাকিলেও, অস্তে সপ্তদ্বীপ সাগরাস্বরা বসুমতীর আধিপত্য নিঃসন্দেহ প্রাপ্তব্য ফল। বাঞ্ছারাম, তথাপি এ পথে অগ্রসর হক্টতে যাহারা ভয় পায়, তাহদের ভয় ঠিক যে ব্যক্তি অমর, তাহার জুজুবিছ দেখিয়া জীবনভীতি উপস্থিত হইবার স্থায়। হিন্দুসস্তান, তুমি বসিয়া রহিয়াছ কি জন্ত ? তুমিও কেন এই মূল ধরিয়া কাৰ্য্যারম্ভ না কর ? যদিও তোমার শক্তি ক্ষুদ্র হয়, বসুমতীর আধিপত্যের পরিবর্তে না হয় একখানা গ্রামও ত অবশ্য লাভ করিতে পারিবে। যেখানে সকলই ওঠবন্দি । হিসাবে ভুক্ত, সেখানে এ ক্ষণস্থায়ী ওঠৰদি ঠাকুরালীর পরিবর্তে যদি কিছু স্থায়ী সম্পত্তি করিতে পার, তাহ কি প্রার্থনীয় নহে? ময়ুপুত্রের তাহাই করা কর্তব্য ; নতুবা পিতৃনাম, পিতৃপুরুষের অপমান করা হয়। পার্থিব স্বার্থের উদ্দেশু আপাত-লভ্য সৌভাগ্য, সম্পৎ বা স্বচ্ছন্দাদি লাভ। ইহাতে আপাততঃ ইন্দ্রপ্রস্থ পৰ্য্যন্ত অধিকারভুক্ত হইয়া, মুখ বৃদ্ধি করিল বটে ; কিন্তু অস্তে কেবল অধিকার-ট্যুতি মাত্র মহে, সবংশ সহ সমস্ত লোপ। আমাদের সমাজ আপাততঃ যেরূপ সংগঠিত, তাহাতে সত্য মিথ্যা উভয়েরই যুগপৎ একত্র সমাবেশ, জধিকন্তু মিথ্যার প্রাধান্ত অধিক । এখানে নিৰ্ব্বোধ মানব স্রোততরঙ্গে পড়িয়া সকল বিষয়েই আপ্ত ফল, আপ্ত প্রতিকারের অনুসন্ধান করিয়া থাকে ; যথানিয়ম ও যথাকালের বড়, একটা অপেক্ষ রাখে না বা বুঝে না। সুতরাং ফল এখানে যুগান্তস্থায়ী হয় না ; নিরস্তর এক ভাদিতেছে, আর গড়িতেছে। মিথ্যাই এখানে প্রায় সৰ্ব্বেলী