পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপসংহার। Gro, আড়ম্বরে ভারত নিত্য টলটিলায়মান ; কিন্তু কখন দেখিয়াছ কি তাহার কোনটা গোটা বাধা বা এবিদ্ধ হইয়া, কোন প্রকারের স্বফল প্রসব করিতে পারিয়াছে ? কুফলের অভাব নাই ; অনুষ্ঠান স্বফল প্রসবিরূপে সম্পূর্ণ না হইলে, কুফল তাহা হইতে স্বতঃ-উৎপন্ন হওয়াই নিয়ম । তোমার সমস্ত আন্দোলন, সমস্ত আয়োজন, সমস্ত কথা, সকলেই জলবুদ্বুদবৎ উঠতেছে পড়িতেছে ; মুহূর্তে উদয়, মুহূর্তে বিলয় ; কেবলমাত্র বচনেই সকল অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি হইয়া থাকে। কথা যতক্ষণ সভাস্থলে, সভার বাহিরে আর তাহাব এক বর্ণও কাহার মনে তিষ্ঠে না । ইহার অর্থ এই, সকলের মূলদেশে কৰ্ত্তব্যবুদ্ধির অভাব ; এ সকলের মূল কেবল মাত্র সাময়িক হুজুগ । কৰ্ত্তবাবুদ্ধি যাহা, তাহ প্রলয় ঘূর্ণবৰ্ত্তমধ্যে নিয়ম স্বরূপ । কৰ্ত্তবাবুদ্ধিতে, অনুষ্ঠিত যে বিষয়, তাহার ধর্ম ওরূপ নহে। কৰ্ত্তবাবুদ্ধি যথায় মূল, তথায় যাবতীয় অসংলগ্ন সংলগ্নে আসিয়া পরিণত হয় ; যাবতীয় অস্থায়ী বিষয় ক্ষণিকতা পরিত্যাগে স্থায়িত্ব পায় ; তথায় অনুষ্ঠিত বিষয় কেৰল সভাস্থলী বাক্যে পৰ্য্যবসিত হয় না, যতক্ষণ তাহা সংসাধিত না হয়, ততক্ষণ তাহা জীবনের ব্ৰত স্বরূপ হইয়া দাড়ায়, মানুষ তাহার জন্ত পাগল হয়, তখন শয়নে স্বপনে কেবল এই একমাত্র ভাবনা,—‘মন্ত্রের সাধন কিংবা শরীরপতন। কি অপূর্ব মহামন্ত্ৰ ! o শক্তিসঞ্চালনে উদ্যম এবং কাৰ্য্যপক্ষে কৰ্ত্তব্যবুদ্ধি, কেবল এই দুইটি থাকিলেই, কৰ্ম্মক্ষেত্রে অবতরণ করিতে পারা যায়, ইহা সত্য বটে, কিন্তু তাহাতেও সাধনসিদ্ধি সম্যক্রুপে হয় না । সাধনাসিদ্ধির পক্ষে সম্পূর্ণভাবে উপযুক্ত হইবার পূৰ্ব্বে, কৰ্ত্তবাবুদ্ধিকে স্বগ্ন এবং স্বাক্ষ করিবার জঙ্ক, আরও কতকগুলি বিষয়ের একান্ত প্রয়োজন , তন্মধ্যে আত্মসংস্কার এবং শিক্ষা এই গুইট প্রধান। । . . .