উপসংহার *obro আচারের খাতিরে দাতে দাত দিয়া ও প্রাণে মরিয়া ; মৃত সৎকার করিতে যাইবেন, মরার সঙ্গে নিজে মরা হইয়া ; ঘরের বাহির হইলেই পাপম্পর্শের আতঙ্ক বা জাতি যায়, ইত্যাদি ইত্যাদি। উদ্দেশ্য ভুলিয়া উপায়ের প্রাবল্য ষে কত বেশী হইয়া পড়িয়াছে, এমন কি হিন্দুর বিদ্যাশিক্ষণ পৰ্ব্বেও তাঁহাঁর উদাহরণ সুবিরল নহে। এই দেখ একটা ব্যাকরণ শাস্ত্র ; উহা কেবল ভাষাশিক্ষার উপায়স্বরূপ ; কিন্তু এখানে একবার ব্যাকরণপর্কের ঘটা দেখ, সহকারী না হইয়া স্বয়ং একটী বিজ্ঞান এবং কেবল তাঁহা নহে, দুঃসাধ্য মুখ্য বিজ্ঞানের পদবীতে উঠিয়া গিয়াছে। গিয়াছিলাম বিদ্যা ও জ্ঞান উপার্জন করিতে, কিন্তু ব্যাকরণের খুঁটিমুটীতেই বয়স কাটিয়া গেল ! এরূপ বহাড়ম্বরযুক্ত উপায়ঘটা সৰ্ব্বদাই পরিহার্য্য। সাধারণতঃ উপায়, স্বতরাং এখানে আত্মসংস্কার এবং তৎস্থত্রে আচার প্রভূতি, যতই স্বল্প, সংক্ষিপ্ত-আয়তন, সুখগ্রাহ এবং সরল হয়, ততই ভাল ; ততই তাহারা কাৰ্য্যসাধক হইবে। কিন্তু হায় ! হিন্দুর কপালগুণে সৰ্ব্বত্র এবং সকলই তাহার বিপরীত। এ কথা হিন্দুর , যে কেবল সংস্কারপর্কেই খাটে, এমন নহে, হিন্দুর যাবতীয় বিষয় সম্বন্ধেই এ কথা বলিতে •iiब्रो भुग्न । বাঞ্ছারাম, তোমাকে সেরূপ আত্মসংস্কার করিতে বলিতেছি না ; যাহা রয় সয়, তাহাই ভাল। অথবা বিজাতীয়গণের স্তায় আত্মসংস্কার করিতেও তোমাকে অনুরোধ করিতেছি না ; এক সময়ে তাহাঁদের আত্মসংস্কার মন্দ ছিল না, কিন্তু তাহা এখন সাধারণতঃ অথবা সৰ্ব্বদা ঝোপ বুৰিয়া কোপ। অতঃপর তবে আত্মসংস্কারসাধক এবং সেই স্বত্রে আচারাদির নিয়ামক কোন নীতির বিষয় আমি তোমাকে
