পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপসংহার। - ' כסטי সম্ভব, তথায় প্রশস্ততার অভাবে, ফল কীটভুক্ত ম্যঙ্গ কুজ ও করাটীয়া আকার ধারণ করে এবং দেবভোগ্য না হইয়া কুকুরভোগ্য । হয়। শিক্ষণ র্তাহাদের, বিভিন্ন জাতীয় সংস্রবের অভাবে, এক বাধা পথে গিয়া সঙ্কীর্ণতা প্রাপ্ত হইয়াছিল । । Тв জাতিমধ্যে সৰ্ব্বসাধারণেই শিক্ষার আবগুকত যে কতদূর, তাহা পূৰ্ব্বেও ভারতীয়দিগের বড় একটা ধারণা ছিল না ; এবং এখনও যে বড় একটা ধারণা গঠিত বা বদ্ধমূল হইয়াছে, তাহ হয় নাই। পূৰ্ব্বকালের বিশ্বাস,–শিক্ষা যাহা, তাহা কেবল অধ্যাপক ও পাটোয়ার, এই দুই জনের আবগুক হয় ; এ শিক্ষার আবার ব্যবসায়ভেদে তারতম্য আছে ; যথা, অধ্যাপকের শিক্ষিতব্য পুজিপাট স্বতি সাহিত্য বা শ্ৰাদ্ধ সভাজয়ের জন্ত দুইটা স্তায়ের তর্ক ; পটোয়ারীর পুজীপটি শুভঙ্কর। এ কালের বিশ্বাস,–শিক্ষা যাহা, তাহ চাকুরী করিবার জন্ত এবং আজিকালি মামলা মোকদমা চালান ও বক্তৃতা করিবার জঙ্গও বটে। ইহার মধ্যে আবার শ্রেষ্ঠ শিক্ষা, ব্যাকরণ দুরন্তু করিয়া ইংরাজী লিখিতে বা কহিতে জানা ; তদৰ্থে কেহ বা সংবাদপত্র লইয়া থাকেন, কেহ বা নভেল পড়েন ; এবং অনেকে পুনঃ ইহার যে কোনটি হইতে সময় কালে ব্যবহার ও (আস্তাকুঁড়ে ছিন্ন গোলাপর পাপড়ি ছড়ানর ন্যায়) প্রয়োগের জন্ত, বাক্যাবলী ও কণ্ঠস্থ করিয়া রাখার পক্ষে ক্রটি করেন না। ইহাদের বিশ্বাস,—বিদ্যা উপার্জন করিতে হয় না, মাতৃগর্ভ হইতেই তাহা সঙ্গে আসিয়া থাকে স্বতরাং এখন যাহা কিছু উপার্জন বা শিক্ষার আবশ্বক, তাহ কেবল ইংরাজী অভিধান ও ব্যাকরণের ;–যদ্বারা গৰ্ত্তোপার্জিত পাণ্ডিত্য ব্যাকরণগুদ্ধ ইংরাজীতে প্রকাশ করিতে পারা যায়। পণ্ডিত্য বলিয়া ষে একটা