পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

«gპ গ্রীক ও হিন্দু। কখনই সমকক্ষতায় উঠতে পারে নাই ; এবং জাতীয় প্রকৃতির কিরূপ পরিপোষণ ও সম্প্রসারণ হেতু তদ্রুপ সংঘটিত হইতে পারে, সেই সকল বিষয় এ প্রস্তাবে যথাযথ আলোচ্য । আলোচ্য বিষয়ের অনুসরণস্থলে, যে যে কারণগুলি প্রথমেই আমাদের দৃষ্ট্রিপথে পতিত হয় ; তাহাদিগকে দুইটি বিভিন্ন নামে দ্বিভাগে বিভাজিত করা যাইতে পারে। বিভাগভেদে তাহাদিগকে এক ব্যবহারিক কারণ, বৈষয়িক কারণ, এই দ্বিবিধ নামে অভিহিত করা গেল। বিভিন্ন ব্যক্তি বা জাতি সহ যে প্রকার সংস্রব হেতু, ' পরম্পরের মধ্যে আচার ব্যবহার আদির বিনিময়ে পরস্পরের কৌলিক আচার ব্যবহার আদির বিকার বিবৰ্ত্তন ও পরিবর্তনাদি সংঘটিত হয় ; তাহাকে ও তৎসম্বন্ধীয় যাবতীয় বিষয়কে, ব্যবহারিক কারণশ্রেণীতে গণনা করা যায়। আর জমির উৎপাদিকা শক্তি, জলবায়ুর গুণাগুণ, আহারীয় নিৰ্ব্বাচন, ইত্যাদি ও তৎসম্বন্ধীয় অপরাপর যে সমস্ত কারণ, তাহাদিগকে বৈষয়িক কারণশ্রেণিতে ধরা যায় ৷ ‘ মানবের জাতীয় প্রকৃতির বিকাশ ও বৰ্দ্ধন বিষয়ে, প্রথম প্রস্তাবে প্রকৃতিক ও নৈসর্গিক কারণের আলোচনা করা গিয়াছে ; এক্ষণে সেই বিষয়ে, এই দ্বিতীয় প্রস্তাবে, ব্যবহারিক ও বৈষয়িক প্রভৃতি অপরাপর কারণের আলোচনা করা যাইতেছে। প্রত্যেক কারণ, স্ব স্ব অধিকার মধ্যে, স্বজাতীয় এক একটি পৃথক্ ফলের উৎপাদন করিয়া থাকে ; কিন্তু এখন সেই বছ পৃথক্ ফলকে একতায় আনিয়া, একত্বপূর্ণ এক অভিনব মূৰ্ত্তি নিৰ্ম্মাণ করিয়া থাকে কে এবং কোন কারণ সহযোগে ?—সেই সমষ্টিতত্ত্ব, যাহার যৌগিকতাবশে বহু পরমাণুযোগে বস্তু, বহুবস্তুযোগে স্বষ্টিবৈচিত্র এবং সমগ্র স্বষ্টিবৈচিত্ৰযোগে অনন্ত ব্ৰহ্মাও । সেই সমষ্টিতত্ত্বের স্বরূপ তিনি, যাহাঁকে বেদ "শান্তং শিবমদ্বৈতং বলিয়া ব্যাখ্যা করিয়াছেন