পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

-a е е ॐौक ७ श्रृि । জবাবদিহি কি গুরুতর ও ছন । তাহার শিক্ষার উপর কেবল তাহার নিজের সদসৎ নহে, সাধারণ জনবর্গেরও সদসৎ অপরিসীম ভাৰে নির্ভর করিতেছে। ভারতসন্তান, এ জবাবদিহিতে একবার প্রবুদ্ধ হওঁ ; ইহা তোমার অৰ্দ্ধেক মঙ্গলের সোপান । শিক্ষাজনিত চিত্তপ্রশস্ততা ও প্রসারিত দৃষ্টি হইতে, নিজ এবং বহু ‘নিজ সংঘটিত জাতীয়, উভয়বিধ অভাব যাহা যাহা, তাহা স্বম্পষ্টরূপে পরিলক্ষিত হইতে থাকে। এই জন্ত সাধারণ কথায় বলিয়া থাকে যে, শিক্ষার সঙ্গে অভাবের বৃদ্ধি হয়। অভাবের বৃদ্ধিই উন্নতির নিমিত্তস্বরূপ । যে অভাব ব্যক্তিগত, তাহ ব্যক্তিগত শক্তি দ্বারা পরিপূরিত হয়। পুনশ্চ যে অভাব জাতিগত, তাহা কেবল এক জাতীয় শক্তি দ্বারা পরিপূরিত হইতে পারে। এক সাধারণ প্রকৃতির বহু মানব লইয়া এক এক জাতি ; সুতরাং আর আর বিষয়ের সহিত তাহাদের সাধারণ শিক্ষা ও শিক্ষাজনিত অভাবও, তদ্রুপ এক ও জাতীয় আকারযুক্ত হইবার কথা । এইরূপে বহু অভাব বা অভাববিশেষ, যখন জাতিমধ্যে সৰ্ব্বত্র পরিচালিত হইয়া, জাতীয় আকার ধারণপূৰ্ব্বক সকলকে সমান উত্তেজিত করিতে থাকে ; তখনই, সেই অভাবসমূহ বা অভাববিশেষ পরিপূরণার্থে সৰ্ব্বত্র সমধৰ্ম্মী যে শক্তিসঞ্চালন, তাহ হইতে উৎপন্ন সহানুভূতি এবং যৌগিকাকর্ষণের ফলে কৰ্ম্মক্ষেত্রে জাতীয় একতার উৎপত্তি হয় ; এবং একবার এ জাতীয় একতা উৎ পাদিত হইলে, জগতে মনুষ্যশক্তিসাধ্য এমন কোন কাৰ্য্য, অথবা কোন জাতীয় শ্ৰী আছে, যাহা মুসাধিত না হইতে পারে ? বাঞ্ছারাম, এইরূপেই জাতীয় একতার উৎপত্তি হয় এবং ইহাই জাতীয় একতা । এ একতা দ্বারা প্রতি জাতীয়স্থ ব্যক্তি ভ্রাতৃবৎ পরিলক্ষিত হইতে থাকে ; এবং এখন তুমি যে বিশ্বাসের অভাবে কোন প্রকার সমবেতসাধ্য