পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপসংহার। f * e? আরও একটী কথা স্মরণ রাখিও । সত্ত্ব-রজ-তম এই ত্ৰিগুণসমাবেশে জগৎম্বষ্ট । এই ত্রিগুণসমাবেশে তোমার স্বষ্টি ; অতএব তোমার কর্মস্থলীতে এই তিন গুণেরই সার্থকতা হওয়া আবণ্ডক, নতুবা তোমার কৰ্ম্মজীবন বিফল হইয়া যাইবে ; কেবল সবগুণের মোহিনী মূৰ্ত্তিতে মোহাভিভূত হইও না। এখানে আরও একটী কথার অবতারণা করা আবশুক। আমাদের সাধনাস্থলে আর কতকগুলি এমন বিঘ্ন আছে, যাহা আমাদের সদিচ্ছা সত্বেও বিন্দুমাত্র অনবধান বা বিবেচনার দোষে উপস্থিত হইয়া, প্রায় সমস্ত নষ্ট করিবার উদ্যোগ করিয়া থাকে। উহ, বলিতে গেলে, বস্তুতঃ সাধনার জন্ত অবলম্বিত উপায়ের মধ্যে কোন এক ক্রটি বিশেষের ফল মাত্র। কি শারীরিক, কি মানসিক, যন্ত্রগুলি যখন সামঞ্জস্ত সম্মিলনে ক্রিয়া নিম্পাদন করিয়া থাকে, তখন তাহা স্বাস্থ্যের চিহ্ন ; সুতরাং পরিণামফলও সুন্দর হইয়া থাকে ; তদন্ততরে রোগ, পরিণামফলও তদ্রুপ হয়। কথিত বিস্ত্রগুলি, সামঞ্জস্তচু্যত চিত্তবৃত্তি বিশেষের অযথা অনুসরণ হইতে উৎপন্ন হইয় থাকে ; তন্মধ্যে অতি-কল্পনা এবং অতি-আশা এই দুইট প্রধান অনিষ্টকারী। অতি-কল্পনার মোহ অতি দুরন্ত ; ইহার মূৰ্ত্তি আগু-মনোহারিণী, সুতরাং সহসা আকৃষ্ট করিয়া থাকে। মানব ইহার মোহে পড়িয়া অকৰ্ম্মণ্য খেয়ালী হইয়া যায় এবং সেরূপ মানবের অনুষ্ঠানে সৰ্ব্বদাই “বহারম্ভে লঘুক্রিয় “ অভিনীত হয়। এমনও হর্ভাগ্যবান কল্পনাপ্রিয় অনেক দেখা গিয়াছে, যে, যাহারা কেবল উপন্যাস পড়িয়া, উপন্সাস সংসারে বিচরণ করত, সত্য সংসারের প্রতি বীতরাগ হয়, বিপুল অনন্ত স্বাক্টর মধ্যে থাকিয়াও, একটা সামান্ত কল্পিত স্বাক্টর মোহে মোহিত হওত, একবারে অকৰ্ম্মণ্যতায় আসিয়া