পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

అు औकe श्नूि । এই কারণের প্রাবল্যবশে, এমন কি, অনেকানেক জাতি পৰ্যন্ত, স্ব স্ব আত্মস্বতন্ত্র্যবিলোপে, অপরাপর প্রবলতর জাতিতে সম্পূর্ণভাবে মিশিয়া গিয়াছে। পূৰ্ব্বকালে ইতালীভূমিতে, কত প্রকার বিভিন্ন জাতি ৰসতি করিত ; কিন্তু শেষে সকলেই, প্রবল ল্যাটিন জাতিতে মিশিয়া, একজাতিরূপে পরিণত হইয়া গিয়াছে। গ্রীস ও আসিয়া মাইনর ভূমিতেও তদ্রুপ ঘটিয়াছিল। প্রাচীন স্কান্দিনেবীয়, নৰ্ম্মাণ, টিউটন, গথ, বেগুলি প্রভৃতি জাতি এখন আর নাই ; ইউরোপের কোন একতর জাতিতে মিশিয়া তাহারা অস্তিত্বশূন্ত হইয়াছে। অধুনাতন কালেও যে ব্যবহারিক কারণের কার্য্য কিছু কম পরিমাণে হইয়া যাইতেছে, তাহা নহে ; বরং উহার ক্রিয়াশীলতা ও ক্রিয়াস্থলীর আয়তন পূৰ্ব্বাপেক্ষ বহুপরিমাণেই প্রসারতা লাভ করিয়াছে। এখন সমস্ত পৃথিবী ব্যাপিয়া উহার কার্য্য চলিতেছে এবং পৃথিবীস্থ সমস্ত জাতিই, কোন না কোনরূপে, উহার ক্রিয়াধীনে আসিতেছে । প্রাচীন গ্ৰীক ও রোমক জাতি, এখন আল সে প্রাচীন গ্রীক ও রোমক নাই ; জাপনীয়ের কত রকমেই না ইউরোপীয় আকারে আকারবিশিষ্ট হইতেছে ; এবং আধুনিক হিন্দুসস্তানেরা দেখ, কত প্রকারে ইউরোপীয় ব্যবহারাদির স্রোতে ভাসমান হইয়া, ফিরিঙ্গীয়ানায় ইয়ংবেঙ্গল নামে খ্যাত ও উপহসিত হইতেছে ; ইত্যাদি। তবে কি না, প্রাচীনকালের তুলনায়, আধুনিক কালে এই একটা প্রবল পার্থক্য দেখা যাইতেছে যে, ব্যবহারিক কারণের এতটা কাৰ্য্য সত্ত্বেও, কোন জাতি, একেবারে অস্তিত্বলোপে, অপর একটা জাতিতে মিশিয়া যাইতেছে না ; আধুনিক রোমক ও গ্রীকদিগের মধ্যে প্রায় সমগ্র পরিবর্তন সত্ত্বেও, তাহাদের আত্মস্বাতন্ত্রা একেবারে বিলুপ্ত হইতে পায় নাই ॥-झेशांद्र কারণ উপরেই বলিয়াছি যে, অসভ্য সভ্য সময়ে, আত্মস্বাতন্ত্র্য রক্ষার