૧છર & গ্রীক ও হিন্দু। ঐক্ষপ স্বাক্ষ পুরে আবদ্ধ থাকিয়া পরমানন্দ ভোগ করেন। চতুর্থ সৰ্ব্ববন্ধন-বিচ্ছিন্ন ব্রহ্ম। এই চতুৰ্ব্বিধ ভাব যথাক্রমে ‘অ, উ,’ ‘ম, এবং ‘ওম্’ দ্বারা সাধিত হয়। . বৈশ্বানর ভাবে জীবাত্মার অবস্থান দক্ষিণমেত্রে, তৈজসভাবে মনোমধ্যে, প্রাঙ্গভাবে অন্তর আকাশে । অন্তর হইতে একশত এক নাড়ীর উৎপত্তি, প্রত্যেকে শতধা বিভক্ত, সেই প্রত্যেকের আবার ৭২,০ •• উপশাখা আছে । ( ১• ) সুতরাং সমস্ত নাড়ীর সংখ্যা ৭২,৭২,০০• • • । উহাদের মধ্যে পরিচালিত যে বায়ুপ্রবাহ, তাহা বিশেষ বিশেষ কাৰ্য্যানুসারে প্রাণ, অপান, উদান, ব্যান ও সমান এই পঞ্চ নামে নামিত। এই পঞ্চ বায়ু অবলম্বন করিয়া পঞ্চ অগ্নির অবস্থান ; যথা গার্হপত্য, দক্ষিণাগ্নি, আহবনীয়, সভ্যাগ্নি ও আবসত্যাগ্নি । নাড়ী সকলের মধ্যে নাড়ী-প্রধান সুষুম্ন। অন্তরের উৰ্দ্ধভাগে উৎপন্ন হইয়া, তালুস্থ নাড়ীদ্বয় এবং মাংসখণ্ডের মধ্য দিয়া, করোটি নামক মন্তকাস্থির ভিতর দিয়া কেশমূলে সীমা প্রাপ্ত হইয়াছে। এই নাড়ীতে প্রবেশ করিয়া, জ্ঞান ও আনন্দময়স্বর্ণপ্রভ আত্মা অন্তরাকাশে পদ্মবৎ গৃহমধ্যে বাস করিতেছে ; ভূহুর্ব অগ্নি, বায়ু ইত্যাদি সকলেই তথায় বর্তমান আছে।” கதம் (১০) ব্ৰহ্মাওপুরাণেও “দ্বিসপ্ততিসহস্রাণি” ইত্যাদি । (১১) পরবর্তী গ্রন্থকলাপে ইহা কত দুর স্পষ্টীকৃত বা অঙ্গপ্রত্যঙ্গবিশিষ্ট হইয়াছে, তাহ দেখা যাউক । দত্তাত্রেয় ষট চক্রভেদে “মোরোর্বাহপ্রদেশে শশিমিহিরশিরে সব্যদক্ষে নিষঞ্জে, মধ্যে নাড়ী স্বযুমা ত্রিভয়গুণময়ী চন্দ্রসুর্য্যাগ্নিরূপা । যুক্তরশ্বেরপুপপ্রথিততমবপুস্থ মধ্যাচ্ছিরন্থ বজাখ্যা যেঢ় দেশাচ্ছিরশি পরিগতা মধ্যমস্ত জ্বলন্ত ॥ পুনশ্চ "তন্মধ্যে পরমক্ষরঞ্চ মধুরং” ইত্যাদি। ব্ৰহ্মাওপুরাণে— “গুদস্ত পৃষ্ঠভাগেছন্মিন বীণাদওস্ত দেহভৃৎ । দীর্ঘাস্থি মুদ্ধি পর্যন্তং ব্রহদণ্ডেতি কথ্যতে ॥
