পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় প্রস্তাব । বিষয় গ্রহণ অবশ্যই অপেক্ষাকৃত কম পরিমাণে করিয়া থাকে। সে যাহা হউক, আবার যখন সে স্থানের বাস ফুরাইল, তখন পরস্পরে সকল ঘনিষ্ঠত বিরহিত হইয়া, যে যাহার গন্তব্য পথে প্রস্থান করিল ; হয়ত ইহকালের মত আর কখনও তাঁহাদের পুনর্মিলন হইবে না। কাল গত হইল, জাতীয় সংস্রব বিশ্বতিসাগরে ডুবিল,—কিন্তু বিনিময়লন্ধ বিষয়সমূহ যাহা, তাহা অস্থিমজ্জায় প্রবেশ করিয়া, স্থায়িভাবে জাতীয় সম্পত্তির পদে অধিষ্ঠিত হইয়া রহিল । * চেতনাচেতন সকল সংসারেই, অধিক যে সে ‘অল্প'কে, উত্তম’ যে সে অধমকে আকর্ষণ করিয়া থাকে । ‘অল্প’ যে, হয় সে 'অধিকের আকর্ষণে রূপান্তর প্রাপ্ত হইয়া, “অধিকের স্তায় গুণাদি প্রাপ্ত হয় ; অথবা অধিক বিশেষ বলবান হইলে, “অল্প তাহার সংঘর্ষে তাহাতেই মিশিয়া দৃশ্বত বিলুপ্ত হইয়া যায়। প্রাকৃতিক সংসারে এই অভিনয় নিত্য নয়নগোচর হইয়া থাকে। ব্যবহারিক কারণের কাৰ্য্যস্থলীতেও, সেই নিয়মের অভিনয়ে ইহাই প্রায় সাধারণতঃ লক্ষ্যগোচর হয় যে, বহির্বিকাশ বাহসম্পং শু মানসিক বৃত্তিতে প্রকৃতির অনুগৃহীত যাহারা ; তাহারা সাধারণতঃ অননুগৃহীতকে আকর্ষণ করিয়া থাকে। এই একটা দৃষ্টান্ত স্বরূপ দেখ ;–তুমি হিন্দুসস্তান, কি তোমার প্রাচীনত্বে, কি তোমার পূর্বপুরুষের পরিচয়ে, ইত্যাদি বিবিধ

  • আমাদের দেশে এক সঙ্গে রৌদ্র ও জল হইলে, বলিয়া থাকে যে :"র্থকশিয়ালীর বিবাহ হইতেছে।” জাপানদেশেও অবিকল ঐ কথা প্রচলিত । পৃথিবীর সমস্ত সভাসভ্য জাতির মধ্যে, আদিম ও মৌলিক ব্যবহার এবং বচন ও প্রবাদদির একতা যে কত ও কি আশ্চৰ্য্য, তদৰ্থে লুবক নামক ইংরেজক্ত Origin of Civilisation RfAr 3 g দ্রষ্টব্য। বলা বাহুল্য যে, সেই সকল একতা, নিঃসন্দেহ, প্রবন্ধোক্ত ব্যবহারিক কারণ বা আদিম জাতীয় সংস্রবক্ষত্রে জগতে বিকীর্ণ হইয়াছে ।