পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় পরিশিষ্ট । ૧૭૧ আমি স্বর্য্যের ন্যায় তেজস্বী,—এইরূপ জ্ঞানযুক্ত হইয়া ও জগৎ সমস্ত আত্মময় জ্ঞান করিয়া, পরমাত্মা সহ আপনার একত্ব অবলোকন করিয়া থাকে, তখনই সেই ব্যক্তি পরব্রহ্মকে প্রাপ্ত হইয়া আনন্দধাম অধিকার করিতে পারে । তীর্থাদি সমস্ত তখন তাহার স্বীয় শরীরস্থ (২০), তখন তাহার পক্ষে পিতাও নাই, মাতাও নাই, পৃথিবী দেবতা বেদ কেহই ভিন্ন ভাব ধরে না ; চোর চোর নহে, ব্ৰহ্মহা ব্ৰহ্মহা নহে, চণ্ডাল চণ্ডাল নহে ; পাপ পুণ্য হইতে তিনি পৃথক, যেহেতু তিনি তখন এই সকলের অতীত হয়েন (২১) জীবাত্মা এবং পরমাত্ম তখন এক । এই নিমিত্তই ছানোগ্যে পিতা পুত্রকে যোগসাধনের ফল জ্ঞাপনার্থে কহিতেছেন, “এতদাত্মমিদং সৰ্ব্বাং তত সত্যং স আত্মা তত্বমসি শ্বেতকেতো।” ব্ৰহ্মলোকের ভাব ও উচ্চতা বৃহদারণ্যকে ৩৬১ গার্গ-যাজ্ঞবল্ক্য ংবাদে বর্ণিত হইয়ছে। গাগাঁ কর্তৃক জিজ্ঞাসিত হইয়া, যাজ্ঞবল্ক্য দ্বারা অন্তরীক্ষ, গন্ধৰ্ব্ব, আদিত্য, চন্দ্র, নক্ষত্র, দেব, প্রজাপতি, এই সকল লোকের ক্রমান্বয়ে অবলম্বন ও ভুবস্থান কথিত হইলে, গার্গা (২) যতীন্দ্র ভগবান শঙ্করচার্য্য বোধ হয় এই ভাব গ্রহণ করিয়াই যতিপঞ্চকে কহিয়াছেন— "কাশীক্ষেত্ৰং শরীরং, ত্রিভুবনজননী ব্যাপিনী জ্ঞানগঙ্গা, ভক্তিশ্রদ্ধা গয়েয়ং, নিজগুরুচরণধানযুক্তঃ প্রয়োগঃ। বিশ্বেশোহয়ং তুরীয়: সকলজনমনঃসাক্ষীভূতান্তরাত্মা, দেহে সৰ্ব্বং মদীয়ং ঘদি বসতি পুনস্তীর্থমন্তাৎ কিমস্তি ॥” (২১) যতীন্দ্ৰ শস্কর এই ভাব গ্রহণ করিয়া নির্বাণধটকে কহিয়াছেন— “ন মৃত্যুর্ন শঙ্কা ন মে জাতিভেদাঃ পিতা নৈব মে নৈব মাতা ন জন্ম । न दकून^भिज* सक्ररेनदि निषा শ্চিদানন্দরূপঃ শিবোহহং শিবোহুম্ ॥”