পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

월 अोक छ श्मूि । পুনৰ্ব্বার জিজ্ঞাসা করিতেছেন যে, ব্রহ্মলোকের অবলম্বন ও অবস্থান কিরূপ । তদুত্তরে যাজ্ঞবল্ক্য ভৎসনাপূর্বক কহিলেন যে, এরূপ অযথা ধৃষ্ট প্রশ্ন করা বিধিবহিভূত, যেহেতু এরূপ প্রশ্নে, প্রশ্নকারীর মুগুনিপাত হইবার সম্ভাবনা । পুনশ্চ ছাদোগ্যে ( ৮ ৪.১০ ) ব্ৰহ্মলোকের ভাব অতি চমৎকাররূপে বর্ণিত হইয়াছে । “নৈনং সেতুমহেরাত্রে তরতঃ ন জরা ন মৃত্যু ন শোকঃ ন স্বকৃতং ন দুস্কৃতং । সৰ্ব্বে পাপ্নানেীহতো নিবৰ্ত্তন্তে । অপহতপাপ্ন হোষ ব্রহ্মলোকঃ। তন্মাদ বা এতং সেতুং তত্বৰ্ণ অন্ধঃ সমনন্ধে ভবতি । বিদ্ধ সন্নবিদ্ধো ভবতি। উপতাপী সন্নমুতাপী ভবতি । তস্থাদ্ধা এতং সেতুং তীত্বাপি নক্তমহরেবাভিনিম্পদ্যতে । সকৃদ্বিভাতোহ্যেষ বৈ ব্রহ্মলোকঃ * ৮৷৪৷১-২—“এই জীবনরূপ সেতু উত্তীর্ণ হইলে রাত্রিদিবাপ্ৰবৰ্ত্তকনিয়মতীত পরপারে জরা, মৃত্যু, শোক, স্বকৃত বা দুষ্কৃত ইহার কিছুই নাই। এখানে সকলে আগত হইলে পাপ হইতে প্রতিনিবৃত্ত হয় । অথবা এই সেতু উত্তীর্ণ হইলে যে অঙ্ক সে অনন্ধ হয়, ষে ক্লেশাদিতে বিদ্ধ, সে অবিদ্ধ হয়। এথামে রাত্রি দিব প্রভেদ নাই, রাত্রি প্রতিভায় দিবসের ন্তীয় সমতাযুক্ত । ইহাই নিত্যজ্যোতির্বিভাসিত ব্রহ্মলোক।”— ব্ৰহ্মানদের উৎকৃষ্টতা প্রদর্শনার্থে কথিত হইয়াছে যে, ধনশালী অপেক্ষা শিক্ষিতের আনন্দ শতগুণ ; শিক্ষিত অপেক্ষ গন্ধৰ্ব্বভাবপ্রাপ্ত মমুষ্যের আনন্দ শতগুণ ; গন্ধৰ্ব্বোত্তরে পিতৃলোকের, তদুত্তরতরে দেবলোকের, ইন্দ্রলোকের, বৃহস্পতি ও প্রজাপতির যথাক্রমে শত গুণ অতিক্রম করিয়া আনন্দের উৎকৃষ্টতা বর্ণিত হইয়াছে। ব্ৰহ্মানন্দ এ সকলের অতীত ও পরিমাণ-বিহীন । ব্রহ্মবিদ্যা-বিশারদ ব্যক্তি সেই আনন্দ লাভ করিয়া থাকেন।