পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় প্রস্তাব । ዓቖ» সংস্রবহেতু গ্ৰীকদিগের উপর ব্যবহারিক কারণের যে যে রূপ কাৰ্য্য অতি বিপুল ; হিন্দুর উপর সেই সংস্রব বিরহে ব্যবহারিক কারণের সেই সেই রূপ কাৰ্য্য কিছুই হইতে পায় নাই। অতএব এটাও এখানে বিশেষ লক্ষ্য করিবার বিষয় যে, এই আদিম জাতির সংস্রবস্থলে হিন্দু এবং গ্রীকচরিতে কতটা বিভিন্নতা আসিয়া উপস্থিত হইল এবং তাহাঁদের চিত্ত ও চিত্তের অবলম্বনীয় বিষয় সকলও সুতরাং কতটা বিভিন্ন ভাবে বিভিন্ন দিকে গতিশীল হইতে চলিল । এক্ষণে পার্শ্ববৰ্ত্তী অপরাপর দেশস্থ জাতি সকলের সহ সঙ্গ-সন্মিলন বিষয়ে আলোচনা করিলে দেখিতে পাওয়া যায় যে, হিন্দু একে নিজে বিদেশগামী হইত অতি অল্প ; তাহাতে আবার সে দূর সময়ে, ঐতিহাসিক সময়ের আদিমকালে, ভারতের পার্শ্বস্থ জাতি সকল বৰ্ব্বর থাকায়, অপরাপর দেশের লোকও ভারতে যাতায়াত করিত কম । দ্বিতীয়তঃ, ভারতের আদিম অধিবাসীদিগের প্রতি ঘৃণা করিতে গিয়া, আত্মেতরের প্রতি ইহাদের যে ঘৃণা বদ্ধমূল হইয়াছিল ; তাহা ক্রমে প্রতিবন্ধকতার অভাবে সংস্কারে পরিণত হওয়ায়, হিন্দুরা অপরাপর সকল জাতি ও তাঁহাদের জাতীয় বিষয়কেই ঘৃণার চক্ষে দেখিতেন । অতএব একেই বিজাতীয় লোকের সহ সংস্রব কম, তাহতে পুনঃ ঘূণার চক্ষে দর্শন, সুতরাং সঙ্গ-সন্মিলনস্থলেও ব্যবহারিক কারণের কাৰ্য্য ততটা হইতে পায় নাই, যতটা গ্রীকদের উপর হইয়াছে । এরূপে কি ভারতের আগমনপথে, কি ভারতের আদিম জাতির সংস্রবে, কি বিজাতীয় সঙ্গ-সম্মিলনে, সৰ্ব্বত্রই ব্যবহারিক কারণের কার্য্যাল্পত হেতু, হিন্দুগণ স্বীয় প্রাচীন কৌলিকতা ও আত্মস্বাতন্ত্র্য আবহমান কাল, এবং এমন কি, আজি পৰ্য্যন্ত যতটা রক্ষণ করিতে পারিয়াছে, ততটা বোধ হয় এক চীন ভিন্ন, পৃথিবীর আর কোন জাতিই রক্ষণ