পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রস্তাবনা ৷ WO) অন্ত আমরা আমাদিগের জাতীয় কৰ্ম্মক্ষেত্রে প্রবেশ করিয়া, অমুষ্ঠানহেতু সমাগত একটী গুরুতর বিষয়ের সমালোচনায় প্রবৃত্ত হইব । তাহা এই—প্রাচ্য এবং পাশ্চাত্য জাতীয় সম্মিলনে, পাশ্চাত্য সহ আমাদিগের গুণবিনিময়ে, আকাজিত ব্যক্তিগত এবং জাতিগত, উভয়তঃ উন্নয়ন-কুতি সাধন। পাশ্চাত্য-প্রতিরূপ আধুনিক ইউরোপীয়গণ ; এবং প্রাচ্য-প্রতিরূপ আধুনিক ভারত-সন্তান । পাশ্চাত্য সভ্যতার ভিত্তিভূমিস্বরূপ গ্রীক ; প্রাচ্য সভ্যতার ভিত্তিভূমিস্বরূপ প্রাচীন হিন্দু। ভিত্তিভূমির প্রাকৃতিক ভাবাভাব অবধারিত হইলে, তদুত্তর দেহ এবং তদীয় অঙ্গ প্রত্যঙ্গের ভাবাভাব অবধারণা সহজ হইয়া আইসে। ফলতঃ, উত্তর দেহ ও তদীয় অঙ্গ প্রত্যঙ্গ সৰ্ব্বদা ভিত্তিরই সৰ্ব্বতোভাবে স্বভাবানুসরণ করিয়া থাকে ; স্থল দৃষ্টিতে পার্থক্য যাহা কিছু দৃষ্ট হয় তাহা, কেবল দেশান্তর ও কালান্তর হেতু, উভয়ের মধ্যে রূপান্তর ভেদমাত্র, আন্তরিক প্রকৃতিভেদ নহে । অতএব এক্ষণে এই প্রবন্ধে সেই ভিত্তিভূমিদ্বয়ের প্রকৃতি যথাযথ অবধারণ করা প্রয়োজন। তদ্বারা উদ্ভাসিত হইতে পারে যে, কাহার প্রকৃতিতে কোনটা দূষণীয়, কোন প্রকৃতি হইতেই বা কি কি গ্রহণীয়, এবং উভয়ের মধ্যে আবার কি কি ভাবে ও কোথায় সংযোগ সাধন হইলে সুতানলয়ের সিদ্ধিসাধন সম্ভব হইতে পারে। , আমি এই প্রবন্ধভাগে, গ্ৰীক এবং হিন্দু একবংশজ হইলেও, কালে কি কি প্রাকৃতিক কারণযোগে তাহারা কিরূপ বিভিন্ন চরিতাদি প্রাপ্ত হইয়াছে এবং অপরিহার্য্যভাবে সেই চরিতাদি কতদূর তাহাদের মৰ্ম্মে মৰ্ম্মে বসিয়া, তাহাদের কার্য্যক্ষেত্র ও কাৰ্য্যের কতদুর রূপান্তর শাধন করিয়াছে, তাহার তত্ত্ব আলোচনায় তদুভয় জাতির প্রকৃতি