পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় প্রস্তাব। b"● স্বীয় কার্য্যে নিয়োজিত করিতে হইলে, সৰ্ব্বদাই ইহাদের উপর হেয়ভাব ও অনাদর প্রদর্শনে কাৰ্য্যসিদ্ধি করিয়া লইতে সমর্থ হইত না । কিন্তু অতঃপর এই যে আদিম অবস্থাবৈষম্য—তাহার যথাভাবে স্থিতি বা তাহার বৃদ্ধি বা হ্রাসত ; দেশের শীতাতপ, উর্বরতা বা আতুৰ্ব্বরতা, ইত্যাদির উপর বহুলাংশে নির্ভর করিয়া থাকে। যথাপ্রয়োজনানুরূপ শরীরসঞ্চালন ক্রিয়া এবং শারীরিক কাৰ্য্যসাধনোপযুক্ত শরীরজ তাপরাশি, পার্শ্বস্থ বায়ুরাশির সংস্পর্শে, তাহার শৈত্য বা উষ্ণতা অনুসারে, হ্রাস বা বৃদ্ধি প্রাপ্ত হইয়া থাকে। শৈত্যে যথায় তাপের হ্রাস হয়, তথায় তাপের সমতা রক্ষার্থে, ক্ষতিপূরণ জন্ত মাংস, মাদক ও তৈলাক্ত দ্রব্য, আহারার্থে প্রয়োজন হয় ; এবং পরিশ্রম দ্বারা শরীর সঞ্চালনে তাপোৎপাদন ও বস্থাদি দ্বারা বায়ুমণ্ডলস্থ শৈত্য হইতে সৰ্ব্বদ শরীররক্ষণের আবশ্বকত হইয়া থাকে। আর যথায় উষ্ণতা হেতু তাপের বৃদ্ধি হয়, তথায় তদ্রুপ আহারের অপ্রয়োজন ; সাধারণ ফল মূল শস্ত প্রভৃতি অল্পায়াসলভ্য দ্রব্যই প্রচুর বলিয়া গণ্য হয়। শ্রম দ্বারা তাপবৃদ্ধিও অনাবশ্বক ; অনুপার্জিত সহজ তাপই এত ষে তাহাতে অলসতা বৃদ্ধি হওয়ায়, পরিশ্রম করিতে মানবচিত্ত প্রবৃত্তিশূন্ত হয়। পরস্তু শরীরে কোন প্রকার আবরণেরও আবখ্যক হয় না । গ্রীষ্মপ্রধান দেশ প্রায়ই সজল এবং উৰ্ব্বর। কিন্তু যদি জলশূন্ত অনুৰ্ব্বর হয়, তাহা হইলে সজল ও উর্বর উষ্ণদেশ, এবং নির্জল ও অনুৰ্ব্বর উষ্ণদেশ, একুয়ের মধ্যে প্রভেদ দৃষ্ট হইয়া থাকে। প্রথমোক্ত দেশের বায়ু সজল ও উত্তপ্ত এবং ভূমি উর্বর ; শেষোক্ত দেশের বায়ুও উষ্ণ বটে, কিন্তু শুষ্ক, এবং দেশে জলশূন্ততা হেতু ভূমি অনুর্বরা । এই নিমিত্ত শেষোক্ত দেশের লোকেরা, কুপ্রাপ্য আহারায়ের নিমিত্ত, বাধ্য হইয়া শ্রম করিতে প্রবৃত্ত হয় এবং তাঁহাতে