ঐীল দেশের ইতিম্বাল । ২৩৯ তিনি বিয়োশিয়ায় উপনীত হইলেন। ঐস্থানে উপস্থিত হইয়াই শুনিতে পাইলেন, গ্লিসাগুর ও হার অধীন গোড়সৈনিকগণ সম্পূর্ণরূপে পরাভূত হইয়াছেন এবং পিসাগুর সমরশায়ী হইয়াছেন। এজিসিলেয়স ঐ সমাচার প্রাপ্ত হইয়। অত্যন্ত দুঃখিত হই লেন। নাইডসনগরের অনতিদূরত্তী সংগ্রামে পিসাগুর পরাজিত হন। ঐ যুদ্ধে স্পার্টানগরীয়দিগের পরাজয় হওয়াতে এথিনিয়দিগের মহোপকার লাভ হয়। উহাদিগেরনিৰ্ব্বাণভূমিষ্ঠ প্রভুশক্তির পুনরুদ্দীপন হইবার বিলক্ষণ সম্ভাবন হইল। কতিপয় দিবসেরপর সেফিসস নদীতীরে করেনিয়ার পরিসর ভূমিতে এক্তিসিলেয়সের সহিত সমিত্রকরিন্থিয়দিগের পুনরায় সংগ্রাম হইল। উভয় পক্ষই পরস্পর বিনাশ কামনা করিয়া কিয়ংকাল দৃঢ়তর অধ্যবসায় সহকারে যুদ্ধ করিল। এজিসিলেয়ুস পরিশেষে জয়ী হইলেন । তিনি যখন আসিয়াখণ্ডে সমরে ব্যাপৃত ছিলেন, তখন বিস্তর লুঠিত দ্রব্য ও অর্থ প্রাপ্ত হন । সেই লুঠিত অর্থ হইতে প্রায় দুই লক্ষ টাকা ডেলফির আপোলেদেবকে উৎসর্গ করিয়া দিলেন। অনন্তর, তিনি স্বগৃহে গমন করিয়া সৈন্যগণকে বিদায় করিয়া দি লেন । - - - এফিসিলেয়সের জয় লাভের পর কিয়ংকাল আর সম্মুখযুদ্ধ হয় নাই। স্পার্টানগরীয়ের মধ্যে মধ্যে করিস্থরাজ্য উৎসাদিত ও বিলুষ্ঠিত করিতে লাগিল। তাহাতে করিন্থিয়ের অতিশয় - দ্ধ হইয় উঠে। উহার এমনি ক্রদ্ধ হইয়াছিল যে, কেহ সন্ধির ক, থা উল্লেখ করিলে তৎক্ষণাৎ তাহার প্রাণ বধ কল্পিত। যাহ। হউক, কতিপয় ব্যক্তি একবাক্য হইয়া লিকিয়ন নামে করিন্থিয় পোতাধিষ্ঠাননগর স্পার্টনগরীয়দিগের হস্তে সমর্পণ করিবার মানসে তুহার দ্বার উদ্ঘাটন করিয়াদিল । স্পার্টানগরীয়ের নগর প্রবিষ্ট হইয়। তৎক্ষণাৎ উহার স্থানের স্থানের প্রাচীর ভগ্ন করিয়া ফেলিল । খৃ.পূ. ৩৯৩ অব্দে এই ঘটনা হয়। এই ঘটনা হওয়াতেই যুদ্ধ শেষ হয় নাই। করিস্থরাজ্যে যুদ্ধ চলিতে লাগিল । স্পার্টারাজ এজিসিলেয়ুস সসৈন্য হইয়া সমরাঙ্গনে গমন করিদেন। কিন্তু করিন্থিয়ের এথিনিয় সেনাপতি ইফিক্রেটিসের সাহায্য প্রাপ্ত
