পাতা:ঘরের কথা ও যুগসাহিত্য - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঘরের কথা ও যুগ-সাহিত্য 3S ( C ) পিতৃদেবের কথা । আমার পিতৃদেব ঈশ্ববচন্দ্ৰ সেন ১৮২৫ - খৃষ্টাব্দে সুয়াপুব গ্রামে জন্মগ্ৰহণ করেন । তিনি শৈশব জীবনে তঁহার মাতুলদ্বয় ভগবান দাস ও চন্দ্রমোহন দাসের সঙ্গে গ্ৰাম্য আমোদ প্ৰমোদ, যথা নৌকা লইয়া নদীতে ‘বাছ” দেওয়া, গাছে গাছে উঠিযা আম পাড়া, প্ৰভৃতি করিয়া বেড়াইতেন। রঘুনাথ সেন মহাশয় পুত্রটিকে স্বীয় মক্তবে বাঙ্গল ও ফার্শী পড়াইয়াছিলেন । পিতা ছোটকাল হইতেই শান্ত-শিষ্ট বলিয়া খাতিলাভ করিয়াছিলেন। মাতৃহীন বালক ; পিতা বৃক্ষ-বিপন লইয়া ব্যস্ত, জ্যেষ্ঠতাত শব্ব সাধনায় রত, কে তঁহাকে দেখিবে ? রঘুনাথ সেনেরা তখনও মাতুলের সংসারেই ছিলেন। তঁহার মাতুল ভ্ৰাতা রামকুমার দাসের তখনও সন্তানাদি হয় নাই। শ্ৰীযুক্ত দেবীচরণ দাস লিখিয়াছেন, “রামকুমারদাসের পেয়ারের ছিল শিশু-ঈশ্বরচন্দ্র। তিনি তাহাকে জরির জুতা, সাটিনের চাপিকান, ইজার ও জরিপাড় চাদর ও নানাপ্রকার মূল্যবান কাপড় পরাইয়া সুখী হইতেন।” বালকের বর্ণ গৌর ছিলনা, কিন্তু শুষ্ঠামবর্ণের হাত হইতে উদ্ধাৱা পাষ্টয়া রংটি প্ৰায় গৌরবর্ণকে ধরিবে। ধরিবে করিয়াছিল, ইহার মধ্যেই আদি শিল্পীরা নিৰ্ম্মাণ কাৰ্য্য শেষ হইয়া গেল । চুলগুলি কেঁকড়ান ছিল, আর এতবড় ডাগর পদ্মেয় পাপড়ির মত চোখ দুটি খুব কমই দেখা যাইত। গৌরবর্ণ না হইয়াও ছেলে দেখিতে এত চমৎকার হইতে পারে, লোকেরা তাহাকে দেখিয়া বলাবলি করিত । বুদ্ধি ও