কোন গ্রামে কোন একটী মোকদ্দমার অনুসন্ধান করিতে গিয়া, একটী রূপবতী যুবতী তাঁহার নজরে পতিত হয়। পরিশেষে কোন-না-কোন উপায় অবলম্বন করিয়া, ক্রমে দারোগা সাহেব তাহাকে গৃহের বাহির করেন, এবং থানায় সন্নিকটবর্ত্তী কোন এক স্থানে একখানি বাড়ী প্রস্তুত করিয়া দিয়া, তাহাকে সেই স্থানে রাখিয়া দেন। সেই স্ত্রীলোকটী দুই বৎসরকাল সেই স্থানে বাস করিয়া দারোগা সাহেবের মনস্তুষ্টি সম্পাদিত করে।
সেই যুবতী যে সবিশেষ রূপবতী, এ কথা লোক-মুখে ক্রমে প্রকাশিত হইয়া পড়ে, এবং ক্রমে ওস্মানের জনৈক পারিষদ এ কথা জানিতে পারিয়া, ওস্মানের কর্ণগোচর করিয়া দেয়। যুবতী-রূপবতীর কথা শুনিয়া ওস্মান আর তাহার মন স্থির করিতে পারিল না; কোন উপায় অবলম্বন করিলে, সে সেই যুবতীকে হস্তগত করিতে পারিবে, তাহারই চিন্তায় অতিশয় ব্যগ্র হইয়া পড়িল, ও ক্রমে আপন মনোভাব প্রকাশ করিয়া সেই যুবতীর নিকট লোক প্রেরণ করিল।
যুবতী তাহার প্রস্তাবে প্রথমে স্বীকৃত হইল না; কিন্তু ওস্মানও তাহার আশা পরিত্যাগ করিল না। যে কোন উপায়েই হউক, তাহাকে আয়ত্ত করিবার নিমিত্ত সবিশেষরূপ চেষ্টা করিতে লাগিল।
যে স্ত্রীলোক একবার তাহার কুলে জলাঞ্জলি দিয়া পরপুরুষের সহিত চলিয়া আসিয়াছে, এবং এতদিবস পর্য্যন্ত পরপুরুষের সহিত অনায়াসে কালযাপন করিতেছে, সেই স্ত্রীলোককে প্রলোভনে ভুলাইতে আর কতদিন অতিবাহিত