সেই গৃহের তালার চাবি গোফুর খাঁর নিদর্শনমত ওস্মান খাঁ নিকট হইতে পাওয়া গিয়াছে।
৬ষ্ঠ। একজন পাইক,—যে গোফুর খাঁর পাইক বলিয়া পরিচয় প্রদান করিল,—তাহার দ্বারা এই ঘটনার আদ্যোপান্ত সমস্ত ঘটনা প্রমাণিত হইল; অর্থাৎ খাজানা আদায় করিবার নিমিত্ত হেদায়েতের বাড়ী হইতে সেই স্ত্রীলোককে আনয়ন হইতে, গোফুর খাঁর বাড়ীর ভিতর লাস পাওয়া পর্য্যন্ত যে সকল ঘটনা অপরাপর সাক্ষী দ্বারা প্রমাণিত হইল, তাহার সমস্ত অংশেই এই পাইক সর্ব্বতোভাবে পোষকতা করিল।
৭ম। লাস পরীক্ষাকারী ডাক্তার সাহেবের দ্বারা প্রমাণিত হইল যে, অনাহারই সেই স্ত্রীলোকটীর মৃত্যুর কারণ।
৮ম। এই সকল প্রমাণ ব্যতীত অপর আর কোনরূপ প্রমাণের যাহা আবশ্যক হইল, তাহাও প্রজাগণের দ্বারা প্রমাণিত হইতে বাকী রহিল না।
এই মোকদ্দমায় গোফুর খাঁ ও তাঁহার পুত্ত্রের উপর যে সকল প্রমাণ সংগৃহীত হইল, তাহা দেখিয়া গোফুর খাঁ বেশ বুঝিতে পারিলেন যে, এই বৃদ্ধ বয়সে কোনরূপেই তাঁহার আর নিস্কৃতি নাই। আরও বুঝিতে পারিলেন যে, দারোগা সাহেবের পূর্ব্বোক্ত স্ত্রীলোকটীকে তাঁহার পুত্ত্র বাহির করিয়া আনায়, এবং দারোগা সাহেব তাঁহার নিকট তাহার পুত্ত্রের বিপক্ষে নালিশ করিলেও, তিনি তাহার কোনরূপ প্রতিবিধানের চেষ্টা করেন বলিয়াই, দারোগা সাহেবের সাহায্যে তাঁহার এই সর্ব্বনাশ উপস্থিত হইল। কিন্তু তিনি বড়ই আশ্চর্য্যান্বিত হইলেন যে, হেদায়েতের কন্যার মৃতদেহ তাঁহার বাড়ীর তালাবদ্ধ গৃহের