দারোগা। আসামীদ্বয়কে ভোমরা যে আমাদিগের জিম্মা করিয়া দিয়াছ, তাহার নিমিত্ত তোমরা রসিদ পাইয়াছ কি?
প্রহরী। না।
প্রহরীর এই কথা শুনিয়া দারোগা সাহেব জমাদার সাহেবকে ডাকাইলেন, এবং তাহাকে কহিলেন, “খুনী মোকদ্দমার আসামীদ্বয়কে ডায়েরীভূক্ত করিয়া লইয়াছ কি?”
জমাদার। লইয়াছি।
দাবোগা। তবে সেই আসামীদ্বয়ের নিমিত্ত উহাদিগকে রসিদ দাও নাই কেন?
জমাদার সাহেব “এখনই রসিদ দিতেছি।” এই বলিয়া দারোগা সাহেবের সম্মুখেই একখানি রসিদ লিখিয়া প্রহরী গণকে প্রদান করিলেন।
রসিদ প্রদান করিবার পর দারোগা সাহেব প্রহরীগণকে কহিলেন, “তোমরা এখন আসামীর রসিদ পাইয়াছ, আসামীদ্বয়ের নিমিত্ত এখন আর তোমাদিগের জবাবদিহি নাই। এখন তোমরা সন্নিকটবর্তী বাজারে বা সরাইয়ে গমন করিয়া অনায়াসেই সেই স্থানে আহারাদি ও বিশ্রাম লাভ করিতে পার। কল্য প্রাতঃকালে আগমন করিয়া এই রসিদ আমাকে প্রত্যর্পণ পূর্ব্বক তোমাদিগের আসামীদ্বয়কে লইয়া যাইও।”
প্রহরী। থানার ভিতর আমাদিগের থাকিতে কোন আপত্তি আছে কি?
দাবোগা। আপত্তি কিছুই নাই। তবে আমার থানায় স্থান অতি সঙ্কীর্ণ, নিরর্থক কষ্ট সহ্য করিয়া এই স্থানে থাকিবার কোন প্রয়োজন নাই। বাজারে থাকিবার উত্তম স্থান