বাহির করিয়া লইয়া যাইবে, সেই সময় সুযোগমত পথের মধ্যে উহাদিগের সহিত কথা কহিলেই হইতে পারিবে।
মনে মনে এইরূপ ভাবিয়া হোসেন আপনার ভৃত্যদ্বয়ের সহিত সেই থানার ভিতর এক স্থানে শয়ন করিলেন।
সেই সময় থানায় যে কর্ম্মচারী উপস্থিত ছিলেন, তাহার হাতের কার্য্য সম্পন্ন করিয়া, একবার তিনি তাঁহার আফিস হইতে বাহির হইয়া আসামীদ্বয়কে দেখিবার নিমিত্ত সেই হাজত-গৃহের নিকট গমন করিলেন। সেই হাজত-গৃহের চাবি যে প্রহরীর নিকট ছিল, কর্ম্মচারীর আদেশমত সে সেই হাজত-গৃহ খুলিয়া দিল। কর্ম্মচারী হাজত-গৃহের ভিতর প্রবেশ করিলেন। আসামীদ্বয়ের একটু শুভদৃষ্ট বলিতে হইবে যে, সেই দিবস সেই হাজত-গৃহের ভিতর সেই দুইটী আসামী ভিন্ন আর কোন আসামী ছিল না।
কর্ম্মচারী হাজত-গৃহের মধ্যে প্রবেশ করিয়া বৃদ্ধকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “তোমার নাম কি?”
গোফুর। আমার নাম গোফুর খাঁ।
কর্ম্মচারী। তোমার কত দিবসের নিমিত্ত কারাদণ্ডের হুকুম হইয়াছে?
গোফুর। আমার কারাদণ্ডের আদেশ হয় নাই, জীবনদণ্ডের আদেশ হইয়াছে।
কর্ম্মচারী। (ওসমানের প্রতি) আর তোমার?
ওসমান। আমারও তাহাই।
কর্ম্মচারী। তোমরা কি করিয়াছিলে, হত্যা করিয়াছিলে কি?