ওসমান। হত্যা না করিলে আর আমাদের জীবনদণ্ডের আদেশ হইবে কেন?
কর্ম্মচারী। তোমাদিগকে এই স্থানে রাত্রিযাপন করিতে হইবে। ওই কম্বল লইয়া তোমর অনায়াসে তাহার উপর শয়ন করিতে পার।
এই বলিয়া কর্ম্মচারী সেই হাজত-গৃহ হইতে বাহির হইলেন। প্রহরী সেই গৃহ পুনরায় তালাবদ্ধ করিয়া দিল।
বাহিরে আনিয়াই কর্ম্মচারী দেখিতে পাইলেন, একটু দুরে তিনজন লোক শয়ন করিয়া আছে। উহাদিগকে দেখিয়া তিনি তাহাদিগের নিকট গমন করিলেন ও কহিলেন, “তোমরা কে এখানে শয়ন করিয়া আছ?”
হোসেন। আমরা।
কর্ম্মচারী। আমরা কে?
হোসেন। আমি ও আমার দুইজন পরিচারক।
কর্ম্মচারী। তুমি কে?
হোসেন। আমার নাম হোসেন।
কর্ম্মচারী। তোমরা কোথায় থাক?
হোসেন। আমাদিগের বাসস্থান এখানে নহে।
কর্ম্মচারী। তবে তোমরা এখানে কি নিমিত্ত আসিয়াছ?
হোসেন। আমরা ওই আসামীদিগের সহিত আসিয়াছি।
কর্ম্মচারী। কোন্ আসামী?
হোসেন। যাহারা হাজতে আছেন।
কর্ম্মচারী। তাই বল না কেন, তোমরা প্রহরী; সেই আসামীদ্বয়কে এখানে আনিয়াছ। .