পাতা:চণ্ডিকা-মঙ্গল.pdf/১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রকাশকের নিবেদন । অশীতি বৎসর পূৰ্ব্বে চণ্ডিকামঙ্গল কাব্য রচিত হইয়াছে। আজ বঙ্গ ভাষা নানা আভরণ-ভূষিতা, অপুৰ্ব্ব সৌষ্ঠবশালিনী, বিচিত্র গতিশীল । তখন ভাষার সে সম্পদ না থাকিলে ও উহার একরূপ সরল অনাবিল গতি ছিল যাহা সহজেই প্রাণ স্পর্শ করিত । এই কাব্যে সেই কৃত্তিবাস ও কবিকঙ্কণের যুগের প্রাঞ্জলতা আছে। কিন্তু তাহাই ইহা প্রকাশের একমাত্র কারণ নহে । মার্কণ্ডেয় পুরাণান্তর্গম্ভ চণ্ডী হিন্দুর একটী মহাগ্রন্থ । ইহা হিন্দুর অধিকাংশ পূজাপাৰ্ব্বণে শান্তি স্বস্ত্যয়নে ঘরে ঘরে পঠিত হইয়া থাকে। কিন্তু দ্বভাগের বিষয় জনসাধারণ এই নিত্য পঠিত শাস্ত্রের মৰ্ম্ম গ্রহণে অসমর্থ। সংস্কৃত ভাষার কঠিন আবরণ এবং বিষয়ের দুরূহতা ইহার অন্যতম কারণ । এমন প্রবাদ ও আছে যে কোন পুরোহিত “ যা দেবী সৰ্ব্বভূতেষু ” পাঠ পুনঃ পুনঃ উচ্চারণ করিলে উহা কৰ্ত্তার মনোযোগ আকর্ষণ করে এবং “যা দেবী বলিবার অপরাধে সেই পুরোহিতকে গৃহস্থের বিরাগ ভাজন হইতে হইয়াছিল। যিনি এই শাস্ত্র গ্রন্থকে বঙ্গীয় হিন্দু সাধারণের সহজ বোধ্য, অভ্যস্ত ভাষায় পরিণত করিয়াহিন্দু সমাজের , অশেষ কল্যাণ সাধন করিয়াছেন, তিনি আমাদের কৃতজ্ঞতা ভাজন । তিনি আজ সৰ্ব্বপ্রকার নিন্দ ও প্রশংসার অতীত । কিন্তু যে পবিত্র উদ্দেশুে তিনি চণ্ডীর মৰ্ম্মানুবাদে প্রবৃত্ত হইয়াছিলেন এই কাব্য প্রকাশে যদি সেই উদ্দেশ্য তিল মাত্র ও সিদ্ধ হয়, যদি এই কাব্য হিন্দু পরিবারে শান্তি স্বস্ত্যয়নে ও পূজাপাৰ্ব্বণে বহুল ভাবে পঠিত হয় তবে তাহার