বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:চণ্ডিকা-মঙ্গল.pdf/৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

৵৹

গীতা ৭ অ ৫ ম শ্লোক। এই শক্তির প্রভাবেই আকাশ জগৎ রূপে পরিণত হয়। সৃষ্টির পূর্ব্বে প্রাণ অব্যক্তাবস্থায় থাকে এবং কল্পের আদিতে আবার ব্যক্ত হইয়া আকাশের উপর শক্তি রূপে কার্য্য করে এই প্রাণই গতিরূপে প্রকাশ হয় এবং ইহাই চণ্ডীর মহাশক্তি। যাঁহাকে সমস্ত দেবগণ এই বলিয়া স্তব করিয়াছেন যে “দেরি প্রসন্নার্ত্তি হরে প্রসীদ, প্রাণ মাত জগতোঽখিলস্য। প্রসীদ বিশ্বেশ্বরি পাহি বিশ্বং ত্বমীশ্বরী দেবি চরাচরস্য॥ আধার ভূতা জগত ত্বমেকা মহা স্বরূপেন যতঃ স্থিতাসি। অপাং স্বরূপ স্থিতয়া ত্বয়ৈতদাপ্যায্যতে কৃৎস্ন মলঙ্খ্যবীর্য্যে”॥ এই প্রাণরূপী মহাশক্তিকে জানিলে জগতে জানিবার আর কিছু বাকী থাকে না। সান্ত জীবের অনন্তে যাইতে হইলে এই শক্তিই একমাত্র অবলম্বন। অতএব সকল স্থানে ও সকল সময়ে শক্তি পূজারই প্রাবল্য দেখা যায়। ভগবান রামচন্দ্র (জীবাত্মা) সীতা উদ্ধার (আত্মজ্ঞান লাভ) করার আশায় রাবণ (অহঙ্কার) বধের নিমিত্ত শক্তির আরাধনা করিয়াছিলেন; দেবাদিদেব মহাদেব কালীকে বক্ষে ও গঙ্গাতে মস্তকে ধারণ করিয়াছিলেন। নারারণ তুলসীকে শিরোদেশে লাগাইয়া রাখিয়াছেন এবং শ্রীকৃষ্ণ যিনি স্বয়মেব স্বয়ং প্রথম পুরুষ তিনি হ্লাদিনী শক্তি শ্রীরাধাচরণে দাস খৎ লিখিয়া দিয়া এই প্রতিজ্ঞা করিয়াছিলেন যে আমি তোমাকে আর কখন ছাড়িব না সকল সময়েই হৃদয়ে ধারণ করিয়া রাখিব।

 সৃষ্টি তত্ত্ব বুঝাইবার জন্য ভগবান মার্কণ্ডেয় মুনি চণ্ডী মাহাত্ম্যের অবতারণা করিয়াছেন। “সর্ব্ব ভূতানি কৌন্তেয় প্রকৃতিং যান্তি মামিকাং। কল্পক্ষরে পুন স্তানি কল্পাদৌ বিসৃজাম্যহং”॥