বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:চণ্ডিকা-মঙ্গল.pdf/৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

।৴৹

অবলোকন করতঃ একাগ্রচিত্তে হরির জাগরণার্থ হরিনেত্রকৃতা শ্রয়া সর্ব্বনিয়ন্ত্রী জগৎকর্ত্রী স্থিতিসংহারকারিণী চৈতন্য রূপিনী নিদ্রারূপা ভগবতী যোগ নিদ্রার স্তব করিয়াছিলেন” চণ্ডী মাহাত্ম্যে ১ম ৫৯—৬৪ শ্লোক। চণ্ডীর এই প্রভু নারায়ণই ভগবান বা পুরুষ, যোগনিদ্রা বা মহামায়া মূল প্রকৃতি সাম্যাবস্থায় তাহাতে লীন আছেন। পূর্ব্বে উক্ত হইয়াছে যে মূল প্রকৃতি সত্ত্ব, রজঃ ও তমঃ এই গুণত্রয়ের রঙ্গভূমি ও পরস্পর পরস্পরকে অভিভূত করিতে চেষ্টা করে। সুতরাং সত্ত্ব ও তমঃ পরাভূত না হইলে রজঃ শক্তির কার্য্য হয় না। সত্ত্বে সুখ, রজে কার্য্য ও তমে প্রসাদাদি অধম গুণ প্রদান করে। সত্ত্ব প্রধান দেবতা বা পূণ্যশক্তি এবং তমো প্রধান দেবতা অসুর বা পাপশক্তি। দেবতা ও অসুরে বা পূণ্য ও পাপে চিরকাল বিদ্ধেষ ভাব। গুণদ্বয় পরস্পর সংঘর্ষণে ব্যাপৃত থাকার সময় ক্রিয়াশীল রজোগুণ বর্দ্ধিত হয়। ভগবানের নাভিপরস্থিত রজো গুণ রূপী ব্রহ্মা সৃষ্টি করিবার জন্য যোগমায়ারূপ প্রকৃতির নিদ্রা হইতে চৈতন্য বা বিকাশ করনার্থ স্তুতি করিয়াছেন অর্থাৎ কার্য্যোন্মুখ হইয়াছেন। সৃষ্টিকাল অর্থাৎ ব্রহ্মার পরমায়ু একশত বৎসর। তৎপর পুনঃ প্রলয়। ব্রহ্মার কার্য্যের ব্যাঘাৎ না হওয়ার জন্য দেবাসুরের যুদ্ধ একশত বৎসর ব্যাপী বলিয়া বর্ণনা করিয়াছেন যথা “দেবাসুরম ভুৎ যুদ্ধং পূর্ণ মব্দ শতং পুরা”। চণ্ডী ২য় অ ১ শ্লোক। এই সময়ের মধ্যে প্রকৃতি সুক্ষ্ম হইতে স্থূলে ক্রমোন্নতি পদ্ধতি ক্রমে স্থূলতর হইতে থাকে। কালবশে ব্রহ্মার আয়ু শেষ হইলে এই বিরোধী গুণত্রয়ের পুনঃ সাম্যাবস্থা সংঘটিত হয় এবং তখনই প্রলয় অর্থাৎ প্রকৃতি স্থূল হইতে