দামিনী কহিল, “না।”
শচীশ কহিল, “তবে কেন তুমি এই ভক্তদের মধ্যে আছ।”
দামিনীর দুই চোখ যেন দপ্ করিয়া জ্বলিল; সে কহিল, “কেন আছি? আমি কি সাধ করিয়া আছি। তোমাদের ভক্তরা যে এই ভক্তিহীনাকে ভক্তির গারদে পায়ে বেড়ি দিয়া রাখিয়াছে। তোমরা কি আমার আর-কোনো রাস্তা রাখিয়াছ।”
শচীশ বলিল, “আমরা ঠিক করিয়াছি, তুমি যদি কোনো আত্মীয়ার কাছে গিয়া থাক তবে আমরা খরচপত্রের বন্দোবস্ত করিয়া দিব।”
“তোমরা ঠিক করিয়াছ?”
হাঁ
“আমি ঠিক করি নাই।”
“কেন, ইহাতে তোমর অসুবিধাটা কী।”
“তোমাদের কোনো ভক্ত-বা এক মতলবে এক বন্দোবস্ত করিবেন, কোনো ভক্ত-বা আর-এক মতলবে আর-এক বন্দোবস্ত করিবেন— মাঝখানে আমি কি তোমাদের দশ-পঁচিশের খুঁটি।”
শচীশ অবাক হইয়া চাহিয়া রহিল।
দামিনী কহিল, “আমাকে তোমাদের ভালো লাগিবে বলিয়া নিজের ইচ্ছায় তোমাদের মধ্যে আমি আসি নাই। আমাকে তোমাদের ভালো লাগিতেছে না বলিয়া তোমাদের ইচ্ছায় আমি নড়িব না।”
বলিতে বলিতে মুখের উপর দুই হাত দিয়া তার আঁচল চাপিয়া সে কাঁদিয়া উঠিল, এবং তাড়াতাড়ি ঘরের মধ্যে ছুটিয়া