—অবাক করলেন মশাই। কোথায় একটু চা খেতে বলবেন, অন্তত কিঞ্চিৎ থ্যাংকস দেবেন, তা নয়, শধুই ধমক!
—হু আর ইউ? কেন তুমি ওঁর গায়ে হাত দিতে গেলে?
—আরে মশাই, ওঁকে যদি নিয়ে না আসতুম তা হলে যে এতক্ষণ বাঘের পেটে হজম হয়ে যেতেন, আপনাকে যে আবার একটা গিন্নীর যোগাড় দেখতে হত।
—চোপরও বদমাশ কোথাকার। জান, আমি হচ্ছি বক্রেশ্বর দাস আই. এ. এস, গুণ্ডা কণ্ট্রোল অফিসার, এখনি তোমাকে পুলিসে হ্যাণ্ডওভার করতে পারি?
—তা করবেন বইকি। স্ত্রী যন্ত্রণায় ছটফট করছেন সেদিকে হুঁশ নেই, শুধু আমার ওপর তম্বি। মুখ সামলে কথা কইবেন মশাই, নইলে আমিও রেগে উঠব। এখন চললুম, নির্মল মুখুজ্যে ডাক্তারকে পাঠিয়ে দিচ্ছি।
বক্রেশ্বর তেড়ে এসে গগনচাঁদের পিঠে হাত দিয়ে ঠেলতে ঠেলতে বললেন, অভি নিকালো।
গগনচাঁদ বেগে চলতে লাগলেন, বক্রেশ্বর পিছু পিছু গেলেন। কিছুদূর গিয়ে গগনচাঁদ বললেন, লড়তে চান? আপনার স্ত্রী একটু সুস্থ হয়ে উঠুন তার পর লড়বেন। যদি সবুর করতে না পারেন তো কাল সকালে আসতে পারি।
বক্রেশ্বর বললেন, কাল কেন, এখনই তোকে শায়েস্তা করে দিচ্ছি। জানিস, আমি একজন মিড্লওয়েট চ্যাম্পিয়ন? এই নে, দেখি কেমন সামলাতে পারিস।
গগনচাঁদ ক্ষিপ্রগতিতে সরে গিয়ে ঘুষি থেকে আত্মরক্ষা করলেন এবং বক্রেশ্বরের পায়ের গুলিতে ছোট একটি লাথি মারলেন। সঙ্গে সঙ্গে বক্রেশ্বর ধরাশায়ী হলেন।