এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩০
চয়নিকা
কাননে ফুটিত শেফালিকা,
ফুলে ছেয়ে যেত তরুমূল,
পরিপূর্ণ সুরধুনী, কুলুকুলু ধ্বনি শুনি’,
পরপারে বনশ্রেণী কুয়াশা-আকুল।
আমা-পানে চাহিয়ে, তোমার
আঁখিতে কাঁপিত প্রাণখানি।
আনন্দে বিষাদে মেশা সেই নয়নের নেশা
তুমি তো জানো না তাহা—আমি তাহা জানি।
সে কি মনে পড়িবে তোমার—
সহস্র লোকের মাঝখানে
যেমনি দেখিতে মোরে, কোন আকর্ষণ-ডোরে
আপনি আসিতে কাছে জ্ঞানে কি অজ্ঞানে।
ক্ষণিক বিরহ-অবসানে
নিবিড় মিলন-ব্যাকুলতা
মাঝে মাঝে সব ফেলি রহিতে নয়ন মেলি’
আঁখিতে শুনিতে যেন হৃদয়ের কথা।
কোনো কথা না রহিলে তবু
শুধাইতে নিকটে আসিয়া।
নীরবে চরণ ফেলে চুপি-চুপি কাছে এলে
কেমনে জানিতে পেতে, ফিরিতে হাসিয়া।
আজ তুমি দেখেও দেখো না,
সব কথা শুনিতে না পাও।