§§28
চয়নিক
পিছন হইতে দেখিছু কোমল গ্রীবা
লোভন হয়েছে রেশম-চিকন চুলে । তাম্র থালায় গোড়ে মালাখানি গেথে
সিক্ত রুমালে যত্বে রেখেছ ঢাকি', ছায়া-হেলা ছাদে মাদুর দিয়েছ পেতে,
, কার কথা ভেৰে বসে আছ জানি না কি আজি এই চিঠি লিখিছে তো সেই কবি
গোধূলির ছায়া ঘনায় ৰিজন ঘরে, দেয়ালে ঝুলিছে সেদিনের ছায়া-ছবি,
শব্দটি নেই,—ঘড়ি টিক্টিক করে । ঐ তো তোমার হিসাবের ছেড়া পাতা,
দেরাজের কোণে পড়ে আছে আধুলিটি ; কতদিন হোলো গিয়েছ, ভাবিব না তা’,
শুধু রচি ব’সে নিমন্ত্রণের চিঠি । মনে আসে, তুমি পুব জানালার ধারে
পশমের গুটি কোলে নিয়ে আছ বসে, উৎস্থক চোখে বুঝি আশা করে কারে,
আলগা আঁচল মাটিতে পড়েছে খ”সে । অর্ধেক ছাদে রৌত্র নেমেছে বেঁকে,
বাকি অধেক ছায়াখানি দিয়ে ছাওয়া ; পাচিলের গায়ে চীনের টবের থেকে
চামেলি ফুলের গন্ধ আনিছে হাওয়া । এ চিঠির নেই জবাব দেবার দায়;
জাপাতত এটা দেরাজে দিলেম রেখে ; পারে। যদি এসে শব্দবিহীন পায় .
চোখ টিপে ধোরে হঠাৎ পিছন থেকে । আকাশে চুলের গন্ধটি দিয়ে পাতি,
এনে সচকিত কাকনের রিমিরিন,
পাতা:চয়নিকা-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪৬২
পরিভ্রমণে ঝাঁপ দিন
অনুসন্ধানে ঝাঁপ দিন
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
